যশোরের চৌগাছায় গোলাপী খাতুন (৪৬) নামে এক সদ্য প্রবাস ফেরত আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গোলাপী খাতুন উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের আড়ারদাহ গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২ নারী চোর শনাক্ত করেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় সন্ধ্যা ছয়টা ১৫ মিনিটে ওই নারীর লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি চলছিলো।রবিবার দুপুর একটা ২০ মিনিটের দিকে শহরের সনু ডাক্তারের মোড় এলাকা থেকে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাপী খাতুন বলেন, আমার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক সৌদি প্রবাসী। পাঁচ দিন আগে তিনি দেশে ফিরেছেন। আমরা গ্রামে বাড়ি করছি। রবিবার দুপুর একটার দিকে ইসলামী ব্যাংকের চৌগাছা শাখা থেকে আমি এক লাখ ৯৯ হাজার টাকা টাকা উত্তোলন করে ছেড়া-কাটা টাকা বাছাই করার সময় কালো বোরখা পরা ও নেকাব দেয়া মাথায় সাদা প্রিন্টের ওড়না পরা এক নারী এসময় উপযাচক হয়ে তার টাকা গুনে দিতে আসেন। তখন আমি বলি, গুনে দেয়া লাগবেনা। আমার সাথে আরো লোক আছে। বলে টাকার বান্ডিলগুলো ব্যাগে ভরে ব্যাংক থেকে নেমে আসি। তখন ওই নারী আমার পিছু পিছু আসতে শুরু করলে আমি ব্যাংকের কিছু দূরের সনু ডাক্তারের মোড়ের জামান ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যাই। ওই নারী তখনো আমার পিছু পিছু ওই ওষুধের দোকানে যেয়ে আমার পাশের চেয়ারে বসে। কিছুক্ষণ পর সে সেখান থেকে চলে যায়। আমি ওষুধ নিয়ে টাকা দিতে গেলে দেখি আমার ব্যাগে টাকা নেই। আমার ব্যাগের একপাশে ব্লেড দিয়ে দুই জায়গায় কাটা।
দোকানী খালেকুজ্জামান বলেন, তখন দোকানে কিছু নারী ক্রেতার ভিড় ছিলো। যার টাকা হারিয়েছে ওই নারী এসে ওষুধ নিতে চাইলে আমি তাকে বসতে বলি। পরপরই আরেক নারী এসে তার পাশে বসেন। ভেবেছিলাম তারা দুজন একসাথের। পরে ওষুধের টাকা দিতে যেয়ে ওই নারী দেখেন তার ব্যাগে টাকা নেই। উল্টো ব্যাগের একপাশে ব্লেড দিযে দুই জায়গায় কাটা।
পরে চৌগাছা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ওই নারীকে রাস্তায় কান্নাকাটি করতে দেখে ওই নারীর কাছ থেকে বিষয়টি শুনে ইসলামী ব্যাংকের সিসিটিভি থেকে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরে তিনি থানার জরুরী দলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব সরকারকে সংবাদ দেন। তিনি ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি শুনে যেখান থেকে টাকা চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে ওই স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার জন্য চৌগাছা থানায় নিয়ে যান। থানায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ২ নারী চোরকে শনাক্ত করেন গোলাপী খাতুন। পুলিশের উপস্থিতিতে ভালো করে দেখা হলে দেখা যায় গোলাপীর ব্যাগের ওই কাটা জায়গা দিয়ে টাকা নেয়নি চোরেরা।
উপ-পরিদর্শক বিপ্লব সরকার বলেন, তদন্ত চলছে। চোর চিহ্নিত হয়েছে। তাদের আটক ও চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই