যশোরের চৌগাছার ঐতিহ্য দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ তুলা গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও বীজবর্ধন খামার। চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাত ও উন্নত মানের তুলা চাষ হয়েছে। খামারের প্রতিটি তুলা গাছে ফুটে আছে তুলা। কর্তৃপক্ষ গাছ থেকে তুলা সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে জনবল সংকটে বৃহৎ এই খামারের স্বাভাবিক কাজ ব্যহত হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তুলা গবেষনা ও বীজবর্ধন খামারের কটোন এগ্রোনোমিস্ট জুবায়ের ইসলাম তালুকদার বলেন, নানা প্রতিকুলতার মধ্যে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গত মৌসুমে খামার হতে ৬০ টন তুলা উৎপাদন হয়। এবছর কিছুটা কমে ৫২/৫৩ টন তুলা উৎপাদন হবে। আবহাওয়া জনিত কারণে উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ার সম্ভবনা আছে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে ৪৭ হেক্টর জমিতে তুলা চাষ করা হয়েছে। সিডি-১২, ১৪, ১৫, ১৬, হাইব্রিড-১ সহ বেশ কিছু উন্নত জাতের তুলা চাষ হয়েছে যা এই খামারেই গবেষনার ফল।
এছাড়া দেশের বেশ কিছু খামার হতে উন্নত জাতের তুলা বীজ সংগ্রহের পাশাপাশি দেশের বাইরে হতে বিশেষ করে চীন ও তুরস্ক হতে বীজ সংগ্রহ করে আমাদের খামারে উৎপাদিত জাতের সাথে ক্রস করে উন্নত জাত তৈরি করা হয়েছে। এই জাত হতে ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে।
খামার অভ্যন্তরের সড়কের চরম বেহালদশা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু সড়ক নির্মাণ হয়েছে, একটি অত্যাধুনিক গোডাউন নির্মিত হচ্ছে যা খামারের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। তবে জনবল সংকট সব থেকে বড় সংকট যা স্বাভাবিক কাজকে ব্যহত করছে। দ্রুত শুন্যপদ গুলো পূরণ হলে খামারের কার্যক্রমে আরও গতি ফিরে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড