খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৩ মে, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের জয়দেবপুরে মালবাহী ট্রেনে যাত্রীবাহী ট্রেনের ধাক্কা, আহত অন্তত ৫০
  ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক

চিদাম্বারামে চমৎকার মুস্তাফিজ, বাইরে বেসামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএল যাত্রাটা মোটাদাগে ভালোই চলছে। ১১ উইকেট পেয়েছেন। পুরো আইপিএল খেলতে পারবেন না। তবে যতটা সময় থাকছেন, নিজেকে রেখেছেন সেরাদের তালিকায়। বল হাতে ফিজ এখন পর্যন্ত সব ম্যাচেই উইকেট পেয়েছেন। চেন্নাইকে পয়েন্ট টেবিলের তিনে রাখতে বড় ভূমিকাই রেখেছেন তিনি।

তবে মুস্তাফিজের আইপিএল যাত্রাকে চাইলে দুটো ভাগে ভাগ করে ফেলা যায়। চেন্নাইয়ের হোমগ্রাউন্ডের মুস্তাফিজ। যেখানে তিনি অনন্য। আর চেন্নাইয়ের বাইরে, যেখানে এই পেসার রীতিমত বে-হিসেবী। চিপাকে যেখান ফিজ তিন ম্যাচে রান দিয়েছেন মোটে ৮১। সেই একই পেসার বিশাখাপত্তম, ওয়াংখেড়ে এবং লখনৌ স্টেডিয়ামে দিয়েছেন ১৪৫ রান।

শুধু রান খরচ না, উইকেটের দিক থেকেও চিপাকের বাইরে ফিজ বেশ নিষ্প্রভ। মোট ১১ উইকেটের মাঝে ৮ উইকেটই মুস্তাফিজ পেয়েছেন ঘরের মাঠে। বিপরীতে তিন উইকেট শুধুমাত্র বাইরের পিচে। চেন্নাইয়ের স্লো উইকেটের বাইরে ফিজের বোলিংয়ে ধার কমেছে, সেটা বোঝাতে এই ক্ষুদ্র পরিসংখ্যানটাই হয়ত যথেষ্ট।

মুস্তাফিজের সবশেষ ম্যাচের কথাই ধরা যাক। লখনৌর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের কোনো বোলারই অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। একেধারে শাসন করেছেন লোকেশ রাহুল এবং কুইন্টন ডি কক। উইকেট পেয়েছেন কেবল মুস্তাফিজ এবং পাথিরানাই। তবে ফিজ রান খরচ করেছেন সবচেয়ে বেশি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৩ রান। ইকোনমি ১০.৪৩। পুরো দলের মধ্যে বাউন্ডারিতে সবচেয়ে বেশি রানও হজম করেছেন বাংলাদেশের পেসার। ২৮ রান দিয়েছেন তিনি কেবল বাউন্ডারি হজম করে।

মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে চিত্রটা আরও শোচনীয়। দলের সবাই যেখানে রান দিয়েছেন ত্রিশের ঘরে, ফিজ খরচ করেছেন ৫৫ রান। ১ উইকেট পেলেও সেদিন তার বোলিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বেশ। ওয়াংখেড়ের স্পোর্টিং উইকেট বেশ ভুগিয়েছে ফিজকে। বাউন্ডারিতে দিয়েছেন ৪০ রান। এমনকি বিশাখাপত্তমে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচেও দলের হয়ে সবচেয়ে খরুচে (৪৭ রান) বোলার ছিলেন এই পেসার।

এই তিন ম্যাচে ফিজের ইকোনমি ছিল ১০ এর বেশি। আর গড়ে ৪৮.৩৩ রানে একটি করে উইকেট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু চিপাকের পিচে ইকোনমি ছিল ৮ এর নিচে। আর প্রতি ১০ রানেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। বিশ্বকাপের আগে ফর্ম ফিরে পাওয়ার মিশনেও তাই মুস্তাফিজ ছিলেন কিছুটা একপেশে।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!