খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মহাখালীতে সড়ক-রেললাইন অবরোধ শিক্ষার্থীদের, সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ
  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

চাঁদাবাজির অভিযোগে ওসি এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর 

চাঁদাবাজি ও খুন-জখমের হুমকির অভিযোগে রাজবাড়ি গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি ও এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার অভয়নগরের গুয়াখোলার মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হুসাইন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার, এসআই মনিরুল ইসলাম, সোর্স সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেল এবং ইয়াসিন শেখ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন নদী পথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালামাল দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। ২০২২ সালে ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের একটি শাখা অফিস নেন রাজবাড়ির গোয়ালন্দ-দৌলদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। কিছুদিন পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ও এসআইয়ের কথা বলে আসামি সোহেল ও ইয়াসিন অফিসে যেয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেয়া হবেনা এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। সুষ্ঠু ভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য আসামিদের ভয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন ২০২২ সালের ১০ মার্চ নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি মোবাইল ফোন কিনে শরিফুলের মাধ্যমে ওসি ও এসআইকে পৌঁছে দেন। ২৭ এপ্রিল ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা দিয়ে ১৫ টি পানজাবি, ২৮ এপ্রিল নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে ৪ কার্টুন খেজুর কিনে দেয়া হয় আসামিদের। এতে সন্তুষ্ঠ না হয়ে ওসি ও এসআই অপর দুই আসামির মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে পাঠান। চাঁদার টাকা না দেয়ায় ওসি ও এসআই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। ব্যবসা পরিচালনার সার্থে তিনি দুই দফায় ওসি ও এসআইজে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দেন। চাঁদার বাকি টাকার জন্য আসামিরা নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন গোয়ালন্দ ঘাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করেন ও পুলিশের উর্দ্বতন কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদার বাকি টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ খুন-জখম করবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন আদালতে এ মামলা করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!