সিরিজ জয়ের ম্যাচে ১২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে দারুণ শুরু করেছিলেন লিটন ও নাঈম। ১২৯ রান করলেই দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত। এমন সহজ সমীকরণ সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭.২ ওভারে ৭০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরেছেন লিটন দাস, মেহেদি হাসান, সাকিব আল হাসান, নাঈম শেখ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, সোহান, সাইফুদ্দিন ও নাসুম।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান করা বাংলাদেশ এরপর ১১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বিপদে পড়েন ওপেনার লিটন দাস। ২.৫ ওভারে দলীয় ২৩ রানে কলিন ম্যাককনকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন এ ওপেনার।
ঠিক পরের ওভারে এজাজ প্যাটেলের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন মেহিদ হাসান। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেই এজাজ প্যাটেলের দ্বিতীয় শিকার হন সাকিব আল হাসান। কিউই এ স্পিনারের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ নাঈম শেখ রাচিন রবীন্দ্রর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বলে ৩ রান করে ফেরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমেই গোল্ডেন ডাক মারেন আফিফ হোসন। তার বিদায়ে ৯.৩ ওভারে ৪৩ রানে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় কিউইরা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসেই সাফল্য পান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে খেলায় ফেরা নিউজিল্যান্ড ওপেনার ফিন অ্যালান। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। তার বিদায়ে ২.১ ওভারে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
এরপর নিউজিল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দলীয় ৬.৪ ওভারে সাইফউদ্দিনের শিকার হন উইলি ইয়াং। ওই ওভারের শেষ বলে কলিন ডি গ্রান্ডহোমকেও ফেরান সাইফউদ্দিন।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের অন্য ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ২০ রান করেন তিনি।
রিয়াদের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার মাহেদী হাসান। তার বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ১০.৫ ওভারে দলীয় ৬২ রানে ফেরেন কিউই এ অধিনায়ক।
এরপর টম ব্লান্ডেলকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৫ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬৬ রানের জুটি গড়েন হেনরি নিকোলাস। তাদের এই জুটিতেই ১২৮/৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। ২৯ বলে ৩৬ রান করেন নিকোলাস। আর ৩০ বলে ৩০ রান করেন টম ব্লান্ডেল।