খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ মে, ২০২৪

Breaking News

  সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখালো যশোর-চুয়াডাঙ্গায় ৪২.৮ ও খুলনায় ৪২
  সাবেক ভূমিমন্ত্রীর দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন

চট্টগ্রামে আদালত চত্বরে হামলা : বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড

গেজেট ডেস্ক

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবনে পুলিশ চেক পোস্টে আত্মঘাতী বোমা হামলা মামলায় জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানের মৃত্যুদণ্ড ও জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক কমান্ডার জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন কারদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ (রোববার) চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ইউনুস।

তিনি বলেন, জাবেদ ইকবালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তিনি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

রায় ঘোষণার সময় জাবেদকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল। আর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজান পলাতক রয়েছেন।

২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পুলিশ চেক পোস্টের সামনে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও ফুটবলার শাহাবুদ্দীন। আহত হন পুলিশ কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন।

এ রায় ঘোষণা কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বোমা হামলায় নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০০৬ সালের ১৮ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্ত চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক হ্লা চিং প্রু জেএমবির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমান্ডার জাবেদ ইকবাল ও বোমা তৈরির কারিগর জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমা মিজানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ২০০৬ সালের ১৬ জুলাই মামলাটির অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় জেএমবির সাবেক প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, তার সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সাবেক সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানির ফাঁসির আদেশ কার্যকর হওয়ায় তাদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৮ সালে চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যনাল গঠন করা হলে মামলাটি ওই ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। একই বছরের ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রিসিভ করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২১ সেপ্টেম্বর রায়ের জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!