খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৭ মে, ২০২৪

Breaking News

  চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাকের সঙ্গে ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
  রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১২ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিলে অসহনীয় তাপদাহে অতিষ্ঠ ছিল জনজীবন। চলতি মে মাসে আরও তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু মাসের শুরুতেই ভোল বদলেছে আবহাওয়ার। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা কমে বিরাজ করছে এক ধরনের নাতিশীতোষ্ণ পরিস্থিতি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার জেরে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত, যার জেরে বুধবার রাজধানীসহ সারাদেশে ঝরেছে বৃষ্টি। এর মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে মাথাচাড়া দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড়।

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল পর্যবেক্ষণ করেন কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

তিনি জানান, ইউরোপীয় মডেল অনুসারে ১২ মে দুপুর ১২টার পর কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। তবে আবহাওয়ার আমেরিকা মডেল বলছে, ১৩ মে দুপুর ১২টার পর উত্তর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও ভোলা জেলার উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলের মধ্যে পার্থক্য কমে এসেছে। এই সময়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ এর স্থলভাগে আঘাতের সময় প্রায় এক দিন এগিয়েছে। তবে দুটি মডেলের মধ্যে স্থলভাগে আঘাতের সময়ের পার্থক্য ১৮ ঘণ্টা রয়েছে, এখন যা প্রতিদিন কমতে থাকবে।

উপকূলে সরকারিভাবে দ্রুত বার্তা পৌঁছানো, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা, দ্রুত ধান কাটাসহ নানা প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে বুধবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, আগামী ৭ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়মিত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্কবার্তা জারি করেছি। লঘুচাপটি তৈরি হতে পারে আগামী ৭ মে। সেটি প্রথমে নিম্নচাপ এবং তার পর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে মোখা।

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ২ মে বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩০ বছরের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা স্থানভেদে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। সবচেয়ে দুঃসংবাদ হলো, পুরো বঙ্গোপসাগরের মধ্যে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতি সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলে। প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যে স্থানের সমুদ্রের পানির তাপমাত্রার বিচ্যুতি যত বেশি, সেই স্থানে ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হওয়ার শঙ্কা তত বেশি।

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!