যশোরের বেনাপোলে ফায়ার সার্ভিসের দূরদর্শিতায় ঝড়ের কবলে পড়া ঘরবন্দি থেকে রক্ষা পেয়েছেন রাবেয়া খাতুন (২৬)।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার বিকেলে বেনাপোলের বড়আঁচড়া গ্রামের এমপির মোড় নামক স্থানে অবস্থিত এনামুল হক লিটুর চারতলা ভবনে।
রোববার বিকেলে এক দমকা ঝড়ো হাওয়ায় একটি চারতলা ভবনের চারতলায় ঘরের দরজা আকষ্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সেটি কোনোভাবেই খুলতে পারছিলেন না। প্রায় ৪ ঘণ্টা শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ছিলেন।
মোবাইলটি রাখা ছিলো ঘরের বারান্দায়। যে কারণে কাউকে ফোন দিয়ে নিজের বিপদের কথাটিও জানাতে পারেননি তিনি। উপর থেকে জানালা দিয়ে ইশারা করেছিলেন নিচে দিয়ে যাওয়া পথচারিদের। কিন্তু বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেশি থাকায় কেউ তা খেয়াল করেননি।
বিকেল ৫টার দিকে তার স্বামী মারুফ অফিস থেকে স্ত্রীকে অনেকবার ফোন করেছিলেন। ফোন বাইরে থাকায় তা রিসিভ করতেও পারেননি গৃহবধূ রাবেয়া। অবশেষে কোনো বিপদ হলো কি না ভেবে অফিস থেকে বাড়িতে আসেন স্বামী মারুফ। দেখেন বাইরের গেটে তালা লাগানো, উপরে কেউ নেই। এসময় তিনি তার স্ত্রীকে অনেক ডাকাডাকি করেন। একটা সময় ঘরের ভেতর বন্দিদশার কথা জানালেন রাবেয়া খাতুন।
এ সময় ফায়ার সার্ভিসের হেড কোয়ার্টার ঢাকায় ফোন দেন মারুফ। সেখান থেকে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা মাত্র ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় রাবেয়াকে অক্ষতবস্থায় উদ্ধার করেন। মারুফ হোসেন বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রতন জানান, এক ঝড়ো দমকা হাওয়ায় ওই বাড়ির চারতলার ভাড়াটিয়া রাবেয়া খাতুনের ঘরের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার ঘণ্টা চেষ্টার পরে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। এসময় তার নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকষ দল ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় রাবেয়া খাতুনকে অক্ষতবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।