খুলনা, বাংলাদেশ | ২৭ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১২ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  আজ মধ্যরাত থেকে ইলিশ ধরা-বিপণনে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা
  ভারতে দুই ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ, ১২ বগি লাইনচ্যুত

গাছে বেঁধে নারীকে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের মামলায় আসামি ১৪, আটক নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কয়রা প্রতিনিধি

খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি এলাকায় সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভিকটিমের পিতা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) ১৪ জনকে আসামী করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭। এখনও পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারিনি পুলিশ।

মামলার আসামীরা হলো, আব্দুল খালেক গাজী, আরাফাত হোসেন, আকফার হোসেন গাজী, নুর আলম, শফিকুল ইসলাম গাজী, রফিকুল ইসলাম গাজী, লিয়াকত গাজী, সালাউদ্দিন গাজী, খোকন গাজী, নাসরিন সুলতানা, সাবিনা আক্তার, সাহিদুর রহমান, আব্দুল মালেক গাজী ও আফসার গাজী।

কয়রা থানার অফিসার্স ইনচার্জ এ.বি.এম.এস. দোহা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

আরও পড়ুন: কয়রায় সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন (ভিডিও)

উল্লেখ্য, ঈদের পরের দিন সোমবার ( ১১ জুলাই) সকালে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক আব্দুল গফফার গাজীর জমিতে ঘর নির্মাণ করতে চায়। এসময় তার মেয়ে শামিমা নাসরিন ও তার ভাবী সালমা খাতুন ঘর নির্মাণে বাধা দেন। তখন প্রতিপক্ষ শামীমাকে বাড়ির ভেতর থেকে বের করে দাড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন করে। তার সমস্ত শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করে ও কামড় দেয়। শরীরের কাপড় খুলে স্পর্শকাতর স্থানে উন্মুক্ত করে দেয় দুর্বৃত্তরা। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। কয়রা থানার এসআই মাসুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দড়ি খুলে ভিকটিমকে উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থা অবনতির দিকে গেলে ওই হাসাপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে সোমবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানকার সার্জরী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল জোর চেষ্টা চালায়। আজ শুক্রবার সকালে জানতে পেরে খুলনা গেজেট বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করলে পাল্টে যায় পরিস্থিতি।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!