খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  হাইকোর্টে ২৩ জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ, আজ শপথ

খোলা বাজা‌রে চাল-আটা কিন‌তে মধ্যবি‌ত্তের ভীড় বাড়‌ছে!

‌ নিজস্ব প্রতি‌বেদক

খুলনায় খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের সাথে মধ্যআয়ের মানুষেরা অংশগ্রহণ করছেন এ পণ্য কিনতে। ফলে ভিড় বাড়ছে ট্রাকসেলের সামনে।

শুক্রবার ব্যতীত খুলনা মহানগরীতে ২৩ জন ডিলারের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে এর কার্যক্রম। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিক্রি হয় খোলা বাজারে এ সব পণ্য। এখানে প্রতিকেজি মোটা চাল ৩০ টাকা ও আটা ১৮ টাকায় বিক্রি করা হয়। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা নিতে পারবেন। যার প্যাকেজ মূল্য দু’শত পঞ্চাশ টাকা।

বৃহস্প‌তিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর দোলখোলা শীতলা বাড়ি মন্দিরের সামনে অনেক মানুষের জটলা দেখা যায়। সেখানে কথা হয় চাঁন্দু মিয়া নামের ষাটোর্ধ এক ব্যক্তির সাথে। কর্মজীবনে তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। অতিমারি করোনার প্রকোপে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে তিনি বেকার জীবন যাপন করছেন। পুঁজি ভেঙ্গে দিন পার করছেন তিনি। পাঁচ সদস্যের সংসার তার। তিনজন স্কুলে লেখাপড়া করে। ব্যায়ের পরিধি বেড়েছে, আয়ের নয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকায় তিনি দিশেহারা। তিনি গত কয়েকমাস ধরে খোলা বাজারে লাইনে দাঁড়িয়ে চাল ও আটা ক্রয় করছেন।

সেতারা বেগম, বাগমারা এলাকার বাসিন্দা। স্বামী বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ, পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। স্বামীর অবসরে যাওয়ার পর তাকে জীবন ও জীবিকার তাগিদে রাস্তায় নামতে হয়েছে। আয় বলতে কয়েকটি ঘর ভাড়ার ওপর তাকে চলতে হয়। গত কয়েকমাস ধরে ঘরভাড়া তেমন পায়না তিনি। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যেবৃদ্ধির কারণে এখান থেকে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। প্রথম প্রথম লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে সমস্য হতো, কিন্তু এখন আর হয়না। উর্ধ্বগতির বাজারে সরকারের এ কার্যক্রমকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।

খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান লিভানা পারভীন এন্টারপ্রাইজের ডিলার মো: জুয়েল বলেন, প্রতিদিন খুলনা মহানগরীর চারটা ওয়ার্ডে চলে এর কার্যক্রম। সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে নতুন করে আরও বিশেষ চারটি পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে। নরমাল পয়েন্টগুলোতে একটন আটা ও দেড় টন চাল দেওয়া হয়। বিশেষ পয়েন্টে দেড় টন আটা ও দুই টন চাল দেওয়া হচ্ছে। চালের বাজার উধ্বমূখী থাকায় নিম্নআয়ের সাথে মধ্যআয়ের মানুষও যুক্ত হয়েছে। ফলে লাইন আগের তুলনায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

 

খুলনা গেজেট/এএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!