যশোরসহ খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এ কারণে তাপমাত্রা কমে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৬ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে। যশোরেও মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগি সেলসিয়াস। তবে এদিন সকাল থেকেই সূর্য উঠায় মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কম ছিল।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস বলেছে, চুয়াডাঙ্গা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবারের শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন। আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর শৈতপ্রবাহের কাছাকাছি জেলায় রয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরসহ বিভাগের আরো কয়েকটি জেলা। এসব জেলার ওপর দিয়ে তীব্র বাতাস বয়ে যাচ্ছে। তবে সকাল থেকে সূর্য ওঠায় মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে। কনকনে শীত থাকলেও মানুষ রোদে খানিকটা প্রাণভরে উত্তাপ নিতে পারছে।
আবহাওয়া বার্তা অনুযায়ী এদিন সকাল ৬টায় যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনায় ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগি, সাতক্ষীরায় ৯ দশমিক ৫, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ৯ ডিগ্রি, ফরিদপুরে ৭ দশমিক ৫, গোপালগঞ্জে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে ও বাতাস বয়ে গেলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। আর ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা নামলে তা হয় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। এ হিসেবে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে তীব্র শীতে এ অঞ্চলের মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। যদিও তারা এদিন সকাল থেকেই রোদে খানিকটা স্বস্তি পাচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম