খুলনা বিভাগের দশ জেলার ৩৬টি সংসদীয় আসনের মানুষ মুখিয়ে ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ ঘোষণা নিয়ে। বিশেষ করে লাখো মানুষ টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখছিলেন, কারা হচ্ছেন এ অঞ্চলের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠান দেখে এ অঞ্চলের মানুষ হতাশ হয়েছেন। কারণ এবারের মন্ত্রিসভায় এ বিভাগের মাত্র দু’জন স্থান পেয়েছেন। এর আগের স্থান পেয়েছিলেন চারজন।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর খুলনা বিভাগের মানুষ আশায় বুক বেধেছিলেন এবার তারা বেশি সংথ্যক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পাবেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান দেখে তারা হতাশ হয়েছেন। কারণ এবার মাত্র দু’জন সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। এ বিভাগের খুলনা-৫ আসনের এমপি নারায়ন চন্দ্র চন্দ ও মেহেরপুর-১ আসনে ফরহাদ হোসেন পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। এছাড়া আর কেউ মন্ত্রীত্ব পাননি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গঠন করা সরকারের মন্ত্রী পরিষদে খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা থেকে ডাক পেয়েছিলেন চারজন। এরমধ্যে খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের সহধর্মীণি বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন।
মন্নুজান সুফিয়ান ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বেগম হাবিবুন নাহার ছিলেন বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী, যশোর-৫ আসনের সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য্য ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
খুলনা বিভাগে যেহেতু চারজন মন্ত্রী ছিলেন, সে কারণে এবার আরও দু’থেকে তিনজন মন্ত্রী বেশি পাওয়ার প্রত্যাশায় ছিলেন এ অঞ্চলের মানুষ। কিন্তু এবারের মন্ত্রিসভায় সেটা দেখা পাওয়া যায়নি। বরঞ্চ গতবারের তুলনায় এবার দু’জন মন্ত্রী বাদ পড়েছেন।
এদিকে, খুলনা বিভাগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা যশোর। এ জেলায় গত সংসদেআরো বেশি হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা নতুন সরকারের কাছে এ বিষয়টি বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি