তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় সময়ের খবরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কাজী মোতাহার রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক সোহাগ দেওয়ান বেকসুর খালাস পেয়েছেন। সোমবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল, খুলনার বিচারক কনিকা বিশ্বাস এ রায় প্রদান করেন।
আসামিদের খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পিপি এড. সাজ্জাদ হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর থানায় মামলাটি হওয়ার পর তা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি)। ওই মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. আফাজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার মোট ১২ জন সাক্ষীর সবাই আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে ২০১৭ সালের ১৮ মে কর্মচারী নিয়োগে জটিলতা সংক্রান্ত সংবাদ স্থানীয় দৈনিক সময়ের খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বোর্ড সভাপতি অতিরিক্ত সিএমএম পদত্যাগপত্র জমা দিলে ১৯ মে নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল করেন মহানগর দায়রা জজ। এছাড়া সিএমএম আদালতে একটি চেকের মামলার রায়ের সংবাদ ২২ মে একই পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই দুটি সংবাদকে মিথ্যা ও ভুল আখ্যা দিয়ে খুলনার (সিএমএম) আদালতের তৎকালীন বিচারক এমএলবি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদের নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা তপন কুমার সাহা বাদি হয়ে যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৬৬ ধারায় ২০১৭ সালের ১৪ জুন খুলনার দু’জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন (নং-২৪)।
এবিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালের এ রায় যুগান্তকারী। সিএমএম আদালতের নির্দেশেই মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছিলো। এখানে সাংবাদিকদের সংবাদ যে সঠিক ছিলো সেটাই প্রমানিত হলো। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অচিন্ত কুমার বলেন, সংবাদপত্রের কাজ সত্য তুলে ধরা। যে সংবাদের কারণে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিলো, তা অতি উৎসাহী হয়ে করা হয়েছিলো। এ রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন পিপি এম সাজ্জাদ হোসেন ও এপিপি রোকেয়া খানম।
খুলনা গেজেট/ বি এম এস