করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে খুলনার বাজারে প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধের সংকট শুরু হয়। ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ গ্রুপের ঔষধ চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না। দীর্ঘদিনেও সংকট কাটেনি। এ সপ্তাহে আলোচিত উল্লিখিত ঔষধের মূল্য ৫০ শতাংশ এবং অন্যান্য ঔষধের মূল্য একশ’ শতাংশ বেড়েছে। ফলে চিকিৎসা ব্যয়ও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
ব্যবসায়ীরা তথ্য দিয়েছেন, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা এক্সট্রা, নাপা র্যাপিড, নাপা ও নাপা এইচ এর সংকট শুরু হয় ২০১৯ সাল থেকে। করোনা বা সর্দি জ্বরে আক্রান্তদের প্যারাসিটামল গ্রুপের ঔষধ সেবনের জন্য চিকিৎসকরা ব্যবস্থপত্রে পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের বাইরেও অভিভাবকরা এ গ্রুপের ঔষধ সেবন প্রক্রিয়া শুরু করেন। ফলে এর চাহিদা বেড়ে যায়। বেক্সিমকো ও স্কয়ার ফার্মসিটিক্যাল বাজারে চাহিদা অনুযায়ী এ গ্রুপের ঔষধ সরবরাহ করতে পারছে না। করোনা মহামারীর পর থেকে কাঁচা মালের সরবরাহ কমেছে।
প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে ময়লাপোতা মোড়ের শাহাজাহান ফার্মার প্রতিনিধি বলেছেন, নাপার সরবরাহ মাসে একবার। ফলে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এ ঔষধের চাহিদা থাকলেও তা সরবরাহ করা যাচ্ছেনা। হেরাজ মার্কেটের মামুন মেডিকেল হল তথ্য দিয়েছেন প্রতিদিন নাপার চাহিদা ২ হাজার পিচ। সেক্ষেত্রে দিনে পাঁচ পিচের বেশী সরবরাহ করা যাচ্ছে না। হেরাজ মার্কেটের মেসার্স তাজ ফার্মার মালিক মো: তাইজুল ইসলাম বলেছেন, নাপা সিরাপ ও এইচ ২০ টাকা ৭০ পয়সার স্থলে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসকেপ ২০ টাকা ও এক্সপা ২০ টাকা ৭০ পয়সা দরে স্থিতিশীল রয়েছে। রুপা ড্রাগের প্রতিনিধি আরও তথ্য দিয়েছেন, শনি ও রবিবার প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপা প্রতিপিচ ৮০ পয়সার পরিবর্তে এক টাকা ২০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তারের দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৫ সালের পর নিয়ম মেনে ঔষধের দর বাড়ানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের যুক্তি উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল, প্যাকেজিং উপকরণ ও পরিবহন খরচের কারণে মূল্য বেড়েছে। প্যারাসিটামলের ১০ টি জেনেরিকের এবং মেট্রোনিডাজল ৬ টি জেনেরিকের দাম বেড়েছে। মেট্রোনিডাজল- ২০০ এমজি ট্যাবলেট কোটেডের আগে দাম ছিল ৬০ পয়সা, রবিবারে দাম এক টাকা। অ্যামোক্সিলিন বিপি ৫০০ এমজি ইনজেকশন ২৪ টাকা ১০ পয়সার স্থলে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেনজামিন, ফলিক এসিড, ফ্লসেমাইড, ডায়াজেপাম, লিডোকেইন, ফেনোবার বিটাল, জাইলোমেট্রোজলিন, প্রোকনেপেরাজিন, এ্যাসপেরিন ও নরগেস্টেরেল নামক ঔষধের দাম ৫০ থেকে একশ’ শতাংশ বেড়েছে।
খুলনা গেজেট / আ হ আ