করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে খুলনা অঞ্চলে নাপা ট্যাবলেট ও সিরাপের চাহিদা বেড়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে প্রতি ফাইল সিরাপের মূল্য ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে এর মূল্য ছিল ২০ টাকা। এ ঔষুধ তৈরীর উপকরণ সরবরাহ না থাকায় নাপার উৎপাদন কমে গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ২০১৯ সালের পর থেকে প্যারাসিটামল গ্রুপের সকল ঔষদের দাম বাড়তে থাকে। সে সময় প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ৮০ পয়সা বিক্রি হলেও এখন ১ টাকা ২০ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। মেট্রোনিডাজল, লিডোপেইন, বেঞ্জামিন, ফ্লুসেইড ইত্যাদির সংকট দেখা দিয়েছে। টামেন সিরাপের দাম বাড়েনি।
নিউমার্কেট এলাকার ঔষধ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান গ্লোব মেডিকেল হলের প্রতিনিধি জানান, গ্রীষ্মের পর বর্ষা মৌসুমে জ্বর, মাথাব্যাথা, দাঁতেব্যাথা, ঠান্ডা ও ইন্ফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদির জন্য নাপার চাহিদা বেড়েছে। স্থানীয় ঔষুদের দোকানগুলোতে মাসের দুবার নাপা সরবরাহ হচ্ছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও ব্যবস্থাপত্রের বাইরেও ক্রেতারা প্রতিদিন দু-দশ ফাইল নাপা সিরাপ কিনছে। আগামী সোমবার থেকে ওসাটিল-৫০, ওসাটিল প্লাস ও এঞ্জিলকের দাম বাড়বে।
হেরাজ মার্কেটস্থ মদিনা ড্রাগ হাউজের প্রতিনিধি জানান, প্রায় প্রতিদিন নাপা সিরাপ সর্টেজ থাকে। মফস্বলের ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নাপা সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
মেসার্স তাজ ফার্মেসীর মালিক মোঃ তাউজুল ইসলাম জানান, নাপা এক্সডেন্টডেট, নাপা সিরাপ-৬০ মিঃলিঃ, নাপা ড্রপ, ফিলমেট সিরাপ, অলোপাম ও নাপা এক্সট্রা এর চাহিদা খুব বেশি। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এর প্রতিনিধিদের স্থানীয় বাজারে চাহিদার কথা বলা হলেও তারা তা সরবরাহ করতে পারছে না।
খুলনা গেজেট/ এস আই