মঙ্গলবার বটিয়াঘাটা সদরে আর বুধবার কৈয়া বাজারের ধানের হাটে আমদানি ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। বোরো ওঠার পর থেকে খুলনায় ধানের মূল্য স্থিতিশীল। জেলার কোন রাইচ মিলে সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে চালের মজুদ নেই। তারপরও চাল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
আজকের বাজারদর মোটা চাল ৪১ টাকা এবং চিকন ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদের বাজারে কেনা-কাটার জন্য মহাজন-চাষিরা জেলার উল্লিখিত দু’টি হাটে ধানের আমদানি বাড়ায়। বেলা দু’টোর আগেই বিক্রি শেষ।
বটিয়াঘাটা সদর হাটের ধানের ব্যাপারী শিবুপদ বালা জানান, মঙ্গলবার ২০ থেকে ২৫জন ফড়িয়া ধান কিনেছে। মে মাসে ইরি মোটা ৯শ’ টাকা মণ এবং চিকন ধানের মূল্য ১ হাজার ৫০ টাকা। জুলাই মাসেও একই দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।
ফড়িয়া শ্যামল মহালদার জানান, বড়ান ধানের চাহিদা বেড়েছে। রাণিস্যালুট জাতের ধানের গত মাসে যে মূল্য ছিল এ মাসেও সেই ১ হাজার ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইরি মোটা ধানের মূল্যে হেরফের হয়নি।
ফড়িয়া মাসুম সরদার হাটে বসে ২২ বস্তা কিনেছেন। মোটা হীরা ধান মণপ্রতি ৯২০ টাকা দরে তার কেনা।
বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, এ উপজেলা ও পাশ্ববর্তী দাকোপে চালের কোন আড়ৎ নেই। বটিয়াঘাটা উপজেলার ৪৬টি রাইচ মিলে বিধি বহির্ভূত ধান-চালের অতিরিক্ত মজুদ নেই।
সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ জাহিদুল ইসলাম তথ্য দিয়েছেন, রাইচ মিলগুলোতে মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, অতিরিক্ত দামে ধান-চাল বিক্রি হচ্ছেনা।
বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হীরালাল বড়াল জানান, চাল আমদানির সিদ্ধান্তের পর থেকে কৃত্রিম সংকট নেই। অন্যান্য পণ্যের মূল্য বাড়ার কারণে চালও চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে।
আকুঞ্জি রাইচ মিলের মালিক আতিকুর রহমান জানান, বৃষ্টিতে কিছু পাকা ধান নষ্ট হয়েছে। ফলে গোপালগঞ্জ, মোল্লাহাট ও বাগেরহাট থেকে ধান আসা কমে গেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য ১০ টাকা কেজির চাল আগামীতে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হবে। আগামী মাসে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলে মূল্য কমতে শুরু করবে। সেই সাথে কৃত্রিম সংকটের সুযোগ থাকবে না।
খুলনা গেজেট / আ হ আ