‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার খুলনায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, নারীদের সম্মাননা প্রদান, কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, শেখ হাসিনার আমলেই দেশে নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। সমাজকে সামনে এগিয়ে নিতে নারীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে নারীরা এখন বিভিন্ন নির্বাচনে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হচ্ছেন। বর্তমান সরকারের আমলে আর্থসামাজিক খাত ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কারণেই নারীরা আজ সম্মান পাচ্ছেন। নারীদের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। নারী-পুরুষ সমানতালে কাজ করলে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা রুনু ইকবাল বিথার, কেএমপি’র এডিসি (সাউথ) সোনালী সেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার সাজিয়া আফরিন সিদ্দীকি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক দপ্তর ও নারী দিবস উদযাপন পর্ষদ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মেয়র বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিন জন নারীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড