খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

খুলনার সরকারি ১০ গুদামে চালের মজুদ সর্বনিম্ন পর্যায়ে

কাজী মোতাহার রহমান

আমন মৌসুমে সংগ্রহ অভিযান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। ভারত থেকে সরকারিভাবে আমদানি করা চাল ফুরিয়ে এসেছে। ভিজিএফ ও নিয়মিত বাহিনীকে প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টন চাল সরকারি গুদাম থেকে দিতে হচ্ছে। ফলে খুলনার ১০টি সরকারি গুদামে চালের মজুদ তলানিতে। গত বছরের মে মাসে গুদামগুলোতে ৪২ হাজার চারশ’ ২৭ মেট্টিক টন মজুদ ছিল। আজকের মজুদ ৮ হাজার পাঁচশ’ ৩৪ মেট্টিক টন।

সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে। বোরো উৎপাদন কম হয়েছে। সরকারের শর্তানুযায়ী বোরো চাল দিতে মিল মালিকরা অনিহা প্রকাশ করছে। চালের বাজারে মূল্য ঊর্ধ্বগতি উদ্বেগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তাকে।

জেলার মহেশ্বরপাশা, খুলনা সিএসডি, রূপসা উপজেলার আলাইপুর, কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা, তেরখাদা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া খাদ্য গুদামে ২০১৯ সালের ৩০ জুন ৬৩ হাজার নয়শ’ ৬৭ মেট্টিক টন চাল মজুদ ছিল।

গেল বছরের ১ মে মজুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ হাজার চারশ’ ২৭ মেট্টিক টন। আজ বুধবারের (৫ মে) মজুদ আট হাজার পাঁচশ’ ৩৪ মেট্টিক টন। প্রতি মাসে পুলিশ, আনসার, ফায়ার ব্রিগেড, বিজিবি ও জেলখানা কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার মেট্টিক টন করে চাল দিতে হচ্ছে। ফলে চালের মজুদ তলানিতে এসে দাঁড়িয়েছে।

খুলনার সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রিয় কমল চাকমা এ প্রতিবেদককে জানান, ১৭ হাজার পাঁচশ’ মেট্টিক টন চাল ও আট হাজার নয়শ’ ৫৭ মেট্টিক টন বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভারত থেকে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।

খুলনা রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল সরকারের চালের ক্রয়মূল্য ৪০ টাকার পরিবর্তে ৪৫ টাকা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা অবধি বিদ্যুতের পিক আওয়ার পদ্ধতির বাতিলের দাবি করেছেন। পিক আওয়ারে তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল হয়। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ে।

এ সময় বরিশাল, গোপালগঞ্জ, যশোর ও সাতক্ষীরা থেকে বোরো আসছে। ধানের দাম মণ প্রতি প্রকার ভেদে ৯২০-৯৩০ টাকা। ধানের দাম স্থিতি থাকলে চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!