খুলনা জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও খুলনা তরুণ একাডেমির কোচ কাজী রিয়াজুল ইসলাম কাজলকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্ত্রীসহ ৫ জনের নামে আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জামা দিয়েছে পিবিআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজল আগে থেকেই অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি যশোরে শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুর সাথে কেউ ব্যক্তিগতভাবে জড়িত নয়। বিবাদীরা তাৎক্ষনিক কাজলকে চিকিৎসার জন্য সকল প্রকার চেষ্টা করেছিলো। যশোর পিবিআইএর পুলিশ পরিদর্শক এ কেএম ফারুক হোসেন গত ১১ মার্চ আদালতে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কাজলের স্ত্রী সুমির সাথে তার পরিবারের কাজলের মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিলো না। এক পর্যায়ে কাজল স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকা শুরু করেন। এরপর শশুর বাড়ি যশোরে এসে অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হওয়ায় বিষয়টি কাজলের মা মেনে নিতে না পারায় আদালতে এ মামলা করেন।
এরআগে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর কাজলের মা খুলনার খালিশপুর চরেরহাট এলাকার মৃত কাজী আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রোকেয়া বেগম যশোর আদালতে মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। বিবাদীরা হলেন, নিহতের স্ত্রী যশোর শহরের বারান্দীপাড়া ফুলতলা এলাকার আমজাদ হোসেনের মেয়ে আফরিনা আক্তার সুমি, শ্বশুর আমজাদ হোসেন, শাশুড়ি মায়া বেগম, বারান্দীপাড়ার মজিদ ড্রাইভারের মেয়ে মণি বেগম ও খুলনা খালিশপুর হালদারপাড়া ১ নম্বর নেভি গেটের কানা সামসুরের ছেলে জাহিদুল ইসলাম সবুজ।
বাদী অভিযোগে বলেছেন, কাজলের সঙ্গে সাড়ে ছয় বছর আগে আফরিনা আক্তার সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর মাঝে-মধ্যে সুমি খুলনায় কাজলের বাড়িতে যেতেন, তবে তাদের সম্পর্ক ভালো ছিল না। এর মাঝে তাদের একটা কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
এরপর চলতি বছরের ২৬ মে বিবাদীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে কাজলকে যশোরে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়। কাজলের কাছে ৫০ লাখ টাকা আছে বলে বিবাদীরা জানতে পারে। ২৮ মে ভোরে পরিকল্পিতভাবে কাজলকে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে নিহতের স্ত্রী সুমি জানান, কাজলের মৃত্যুর পর তার শাশুড়ি সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে এ ধরণের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। প্রথমে মামলা করেছে। এর কয়েকদিনের ব্যবধানে কাজলের বাড়ি থেকে তাকে বের করে দিয়েছে। এখন শিশু সন্তানকে নিয়ে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এখন তার শাশুড়ি ও ননদ উষা তার ও কাজলের কন্যাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি