খুলনা, বাংলাদেশ | ২ মাঘ, ১৪৩১ | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  ১৭ বছর পর কারামুক্ত হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফু্জ্জামান বাবর
  দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
  মোংলার চাপড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ২
  গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র : আজ প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক

খালিশপুরে ৩০টি ইজিবাইকসহ পুড়লো ৮ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক 

খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে খালিশপুর লিবার্টি সিনেমা হলের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ইজিবাইক গ্যারেজসহ ৮টি প্রতিষ্ঠানে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট আধাঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও ভূক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার ভোর রাত ৩টার দিকে খালিশপুর লিবার্টি সিনেমা হলের অদূরে একটি ইজিবাইক চার্জিং গ্যারেজে আগুন লাগে। প্রথম পর্যায়ে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের খালিশপুর ও দৌলতপুরের ৫টি ইউনিট আগুন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে অগ্নিকান্ডে ইজিবাইক গ্যারেজ, রিকশা গ্যারেজ, খাবারের হোটেল, ডেকোরেটর দোকান, কর্মকারের দোকান, অটোপার্টসের দোকান, চায়ের দোকানসহ ৮টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগুনে আনুমানিক ২৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মালামাল ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভস। তবে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভাই ভাই অটোপার্টস দোকানের মালিক নাজমুল ইসলাম বলেন, আমার দোকানের পেছনে একটি ইজিবাইক চার্জিং গ্যারেজ রয়েছে। আমার দোকানে বাড়ির মালিক মিটার রেখেছে। সেখান থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। আমার দোকানের ৬/৭ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা পুড়েছে। শুধু আমার দোকানই নয়, গ্যারেজে থাকা প্রায় ৩০টি ইজিবাইক পুড়েছে। এছাড়া পাশের রিকশা গ্যারেজের কয়েকটি রিকশা, হোটেলসহ ৭/৮টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আগুনে প্রায় কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে।

নাজমুল বলেন, বাড়িওয়ালাকে এর আগেও আমার দোকান থেকে মিটার সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মিটার সরানোর উদ্যোগ নেননি। আজ আগুনে আমার সব পুড়ে গেল।

খালিশপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুল মালেক সরদার বলেন, গভীর রাতে আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে গ্যারেজসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে পাশেই গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান ছিল। সঠিক সময়ের মধ্যে আমরা যেতে পারায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক চার্জিং স্পটে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!