খুলনার কয়রায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ এলাকাবাসীর সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে রিংবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলামের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সকালের ভাটি থেকে দুপুরের জোয়ার পর্যন্ত এলাকাবাসী অক্লান্ত পরিশ্রম করে রিংবাঁধের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।
সেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে আসা জুলফিকার আলি বলেন, আমাদের ঘর বাড়ি রক্ষা করতে আজ সকাল থেকে এলাকাবাসী চেষ্টায় রিংবাঁধ সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙন যেন কয়রার মানুষের পিছু ছাড়ছে না। যখনি কয়রার মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ঠিক তখন আবার কোন না কোন জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। প্রাথমিক ভাবে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১৭ জুলাই) ভোররাতে কপোতাক্ষ নদীর ভাটির টানে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (১৪/১) বোল্ডারের বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘর-বাড়ী সহ দুই হাজার বিঘা মৎস্য ঘের।
খুলনা গেজেট/ এস আই