“আপনাদের দেখলে ভালো লাগে। আপনারা ছাড়া নিজেদের খুবই অসহায় লাগে। আপনারা ভার্সিটির স্টুডেন্ট যারা আছেন তারা আমার ছেলে মেয়েদের চেয়ে কম আপন নয়। আমাকে কেউ নানা কয়, কেউ দাদা কয়, কেউ মামা কয়। আমারে নিয়ে সবাই আনন্দ ফুর্তি করে। সে জন্য আমি এই জায়গায় দোকানদারী করলে অনেক আনন্দ পাই।’’
এমনই আবেগ মাখা কন্ঠে বলছিলেন করোনার সময়ে ১০-১১ মাস ঔষধ কিনতে না পারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঁধন চত্বরের ছোট্ট মুদির দোকানদার ইব্রাহিম চৌধুরী।
দীর্ঘ ১৮ মাস করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ছিলো। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বশেমুরবিপ্রবির ফাইনাল ইয়ার ও মাস্টার্সের পরীক্ষা শুরু হয়। এদিকে আগামী ৭ তারিখে হল খুলবে। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে কিছু চলে এসেছে অন্যান্যরাও আসতে শুরু করেছে।
শিক্ষার্থীদের অন্যতম পছন্দের আড্ডার জায়গা হলো হাফিজ মামার চায়ের দোকান। দোকানের চায়ের উষ্ণ হাওয়া না নিলে শিক্ষার্থীদের মন যেনো শান্ত হয় না। এই দোকানের দোকানদার হাফিজ মামা বলেন, করোনার সময়ে অনেক দেনা হয়ে গেছি। আয় না থাকলে খাবো কি। আপনারা আসছেন আবার সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপনাদের দেখলে ঈদের থেকেও খুশি লাগে।