খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৬০
  হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি
  ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন নিহত হয়েছেন : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি
করোনার প্রভাব : খদ্দেরের সমাগম নেই

চিতলমারীতে কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারীরা

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

মহান আল্লাহকে খুশি করতে তার নামে পশু কোরবানি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। আর এই কোরবানিকে ঘিরে প্রতি বছর শহরের সাথে চাঙ্গা হয় গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা। এই চাঙ্গা অর্থনীতির ছোঁয়া থেকে বাদ পড়ে না বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা। কিন্তু এবারের ঈদুল আজহা’র দিন ঘনিয়ে আসলেও মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের কারণে স্থানীয় পশুর হাটগুলোতে বেচা-কেনা ও খরিদ্দারের তেমন কোন সমাগম নেই। তাই গরু বিক্রি নিয়ে এ উপজেলার প্রায় সহাস্রাধিক খামারি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

চিতলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৮৬০ জন খামারি রয়েছেন। তারা কোরবানি উপলক্ষে বিক্রির জন্য এক হাজার ৩২৮ টি ষাঁড়, ২২০ টি বলদ, ১০০ টি গাভী, ৭০ টি ছাগল ও ৩০ টি ভেড়া প্রস্তুত রেখেছেন। তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী খামারী ও পশুর পরিমান দ্বিগুণ বলে জানিয়েছেন পশু ব্যবসায়ী এবং খামারীরা।

স্থানীয়রা জানান, বিগত বছর গুলোর মত এবছর বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু কেনার কোন আগ্রহ ব্যাপারীদের দেখা যাচ্ছে না। হাটে যে সকল গরু উঠছে তাও খদ্দেরের অভাবে বিক্রি হচ্ছে না। অপরদিকে অনলাইনের মাধ্যমে গরু বেচাকেনার বেচাকেনারর বিষয়ে গ্রামের খামারি ও ব্যাপারীদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। যার কারণে অনলাইনে গরু বিক্রি করার কোন সুযোগ পাচ্ছেনা তারা।

উপজেলার খড়মখালী গ্রামের নয়ন রানা, বিমল মজুমদার, প্রভাস মন্ডল, পুলক হীরাসহ কয়েকজন খামার মালিক জানান, বিগত বছর গুলোতে এই সময় বেশীর ভাগ গরু বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু এবছর করোনা ভাইরাসের জন্য কোন ব্যাপারী বা গৃহস্থ খদ্দের পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গরুর খাবারের দাম বেড়েই চলেছে। গত বছর ষাঁড় দুই লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবছর তাঁর দাম এক লাখও হচ্ছে না।

তারা আরো জানান, ধারদেনা করে খামারে গরু তুলেছেন। ঠিকমত দাম না পেলে এবার পথে বসতে হবে। এছাড়া অনলাইনে গরু বেচাকেনার খবর তারা কেবল টিভিতেই দেখেছেন। এনিয়ে তাদের সাথে কেউ কোন আলাপ আলোচনা করেনি।

এ ব্যাপারে গরু ব্যবসায়ী রেফাজুল খান জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর এখনও কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের তেমন কোন প্রভাব পড়েনি।

তবে চিতলমারী উপ-সহকারি প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শেখর বিশ্বাস বলেন, করোনা কালীন সময়ে পশুর হাটে আগের মতো কেনাকাটা নেই। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে খামারী ও গৃহস্থরা চরম লোকসানে পড়বেন। এদিক বিবেচনা করে আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাটে ক্রেতাদের আসার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছি।

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!