এমনিতেই সিনিয়র কেউ নেই। পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য জিম্বাবুয়ে সফরে পুরোপুরি নতুন একটি দল টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। যদিও খেলোয়াড়রা নতুন নন, অধিকাংশ ক্রিকেটারই মোটামুটি অভিজ্ঞতায় ভরপুর।
এমন দলটিকে নেতৃত্বের জন্য বাছাই করা হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সে সঙ্গে একটি দুঃসংবাদও শুনতে হলো টাইগারদের।
আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে তিন সপ্তাহের জন্য দল থেকে ছিটকে পড়েছেন সোহান। রাতেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ এখন ১-১ এ সমতায়। এমন এক মুহূর্তে অধিনায়কের ছিটকে পড়া অবশ্যই দলের জন্য সুখকর নয়। সে সঙ্গে একটি প্রশ্নও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেটা হলো, শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তাহলে বাংলাদেশের অধিনায়ক হচ্ছেন কে?
উত্তর খুঁজতে যদিও খুব একটা কষ্ট করতে হবে না। কারণ, মূল অধিনায়কের পরিবর্তে তার ডেপুটিই নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলান। যদিও টি-টোয়েন্টিতে নুরুল হাসান সোহানের সহকারী হিসেবে কারো নাম আগে থেকে ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
সুতরাং, যে কারো ওপরই দায়িত্ব দেয়া হতে পারে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। ওপেনার লিটন দাসেরই নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা বেশি। গতবছর নিউজিল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনজুরিতে ক্যাপ্টেন্সি করছিলেন লিটন। সুতরাং, লিটনের কাঁধে চাপতে পারে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।
এছাড়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীকে নেতৃত্ব দেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আছেন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজকেও দায়িত্ব দিতে পারে ম্যানেজমেন্ট।