খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪
ব্যবসায়ী প্রায় ৭০ শতাংশ

কেসিসি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও গ্রহণযোগ্যতার সংকট থাকবে : সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে না। ভোটাররা বুঝতে পারছেন কে নির্বাচিত হবেন। এ অবস্থায় নির্বাচনে উৎসব নেই, আছে উৎকণ্ঠা। প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এ নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়বে বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কেসিসি নির্বাচন নিয়ে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন সুজন নেতারা। প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন এবং অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সুজন বলেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) প্রার্থীদের স¤পদের হিসাবের যে চিত্র উঠে এসেছে, তাকে কোনোভাবেই স¤পদের প্রকৃত চিত্র বলা যায় না। কেননা, প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই প্রতিটি স¤পদের মূল্য উল্লেখ করেন না, বিশেষ করে স্থাবর সম্পদ। আবার উল্লেখিত মূল্য বর্তমান বাজার মূল্য না; এটা অর্জনকালীন মূল্য। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলিপ কুমার সরকার। সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়। একই সাথে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের প্রতি দাবি জানানো হয়।

সুজন জানিয়েছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ১৮০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ১৯ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী শেখ মোঃ আরিফুজ্জামানের তথ্য কমিশনের ওয়েবসাইটে পাওয়া না যাওয়ায় ১৭৯ জন প্রার্থীর বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো। কেসিসির ৫ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে একজনের (২০%) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, ২ জনের (৪০%) ¯œাতক এবং ২ জনের (৪০%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ¯œাতকোত্তর স¤পন্ন করা মেয়র প্রার্থী হলেন: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ আঃ আউয়াল; ¯œাতক স¤পন্ন করা দুইজন মেয়র প্রার্থী হলেন: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ও জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে উল্লেখ করেছেন স্ব-শিক্ষিত।

মোট ৩১ টি সাধারণ ওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া ১৩৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৬ জনের (২৬.৬৭%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নিচে, ২২ জনের (১৬.৩০%) এসএসসি, ৩২ জনের (২৩.৭০%) এইচএসসি, ৩২ জনের (২৩.৭০%) স্নাতক এবং ১১ জনের (৮.১৫%) স্নাতকোত্তর। মোট ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১২ জনের (৩০.৭৭%) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নিচে, ৬ জনের (১৫.৩৮%) এসএসসি, ৮ জনের (২০.৫১%) এইচএসসি, ১০ জনের (২৫.৬৪%) স্নাতক এবং ২ জনের (৫.১৩%) স্নাতকোত্তর। স্নাতকোত্তর স¤পন্ন করা ২ জন হলেন সংরক্ষিত ৭ নং ওয়ার্ডের খাদিজা আক্তার এবং সংরক্ষিত ৯ নং ওয়ার্ডের মাজেদা খাতুন। সর্বমোট ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা (৪৩.৫৭%) এসএসসি ও এর নিচে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি অতিক্রম করেননি এমন প্রার্থী আছেন ৫০ জন (২৭.৯৩%)। শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ না করা ৩ জন প্রার্থীকে যোগ করলে এই সংখ্যা দাড়ায় ৫৩ জন (২৯.৬১%)। অপরদিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৫৮ জন (৩২.৪০%)।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের নির্বাচনে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার কমেছে। ২০১৮ সালে ছিল ৬১.৪৫%, যা এবার ৪৫.২৫%।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কেসিসির ৫ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন (৬০%) ব্যবসায়ী, ১ জন (২০%) কৃষিজীবী এবং ১ জন (২০%) চাকুরিজীবী। আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু ও জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেনের পেশা ব্যবসা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমানের পেশা কৃষি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোঃ আঃ আউয়াল পেশার ঘরে উল্লেখ করেছেন মুহতামিম ও সাধারণ ব্যবসা। চাকুরী থেকে আয় বেশি হওয়ায়, তাঁর পেশা চাকুরি দেখানো হয়েছে। বিশ্লেষণে অন্যান্য নির্বাচনের মত খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এই প্রবণতা নির্বাচনে অর্থের ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষণ বলে অনেকে মনে করেন। পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান ব্যবসায়ীদের আধিক্য এবং অন্যান্য পেশার প্রতিনিধিত্ব হ্রাস পাওয়া ইতিবাচক নয়। একইসাথে তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্যও মঙ্গলজনক নয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে, এবারের নির্বাচনে ব্যবসায়ীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার গতবারের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কেসিসির ৫ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র একজনের (২০%) বিরুদ্ধে অতীতে ফৌজদরি মামলা সংশ্লিষ্টতা ছিল। ১৩৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৩ জনের (২৪.৪৪%) বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে।

বিশ্লেষণে জানানো হয়, মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনের (৬০%) নিজের ও নির্ভরশীলদের আয় বছরে ৫ লাখ টাকার কম এবং ২ জনের (৪০%) নিজের ও নির্ভরশীলদের আয় বছরে ৫০ লাখা থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে। বছরে সর্বোচ্চ ৯০ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা আয় করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু; দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯ লাখ ২০ হাজার ৮৭০ টাকা আয় করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। ১৩৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৮১ জন (৬০%) বছরে ৫ লাখ টাকার কম আয় করেন। বছরে ৫ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা আয় করেন ৩৭ জন (২৭.৪১%)। ৪ জনের (২.৯৬%) বাৎসরিক আয় ২৫ লাখ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। বছরে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৩ জন (২.২২%) এবং ১ কোটি টাকার অধিক আয় করেন ৩ জন (২.২২%)। কোটি টাকা অধিক আয়কারী প্রার্থীরা হলেন ২৮ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মাদ জিয়াউল আহসান (৭ কোটি ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৪ টাকা), ২৪ নং ওয়ার্ডের জেড এ মাহমুদ ডন (১ কোটি ৩৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৮ টাকা) এবং ১৩ নং ওয়ার্ডের এস এম খুরশিদ আহম্মেদ (১ কোটি ৩৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা)। সংরক্ষিত আসনের ৩৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জনের (৬১.৫৩%) বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম।

কেসিসির ৫ জন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের (৪০%) স¤পদের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার কম, ১ জনের (২০%) ৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার মধ্যে এবং ২ জনের (৪০%) ৫ কোটি টাকার ওপরে। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স¤পদ রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৬ হাজার ৯৩১ টাকা)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ শফিকুল ইসলাম মধু (৯ কোটি ৬৫ লাখ ২৩ হাজার ৬৬ টাকা)। ১৩৫ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৫০ জন (৩৭.০৪%) স্বল্প স¤পদের অর্থাৎ ৫ লাখ টাকার কম মূল্যমানের স¤পদের মালিক। ৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকার স¤পদ রয়েছে ৪৪ জনের (৩২.৫৯%), ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকার স¤পদ রয়েছে ১০ জনের (৭.৪১%), ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ১১ জনের (৮.১৫%) এবং ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার স¤পদ রয়েছে ১৫ জনের (১১.১১%)। ৩৯ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৪ জনের (৬১.৫৪%) স¤পদ ৫ লাখ টাকার কম। তিনটি পদের সর্বমোট ১৭৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৬ জনই (৪২.৪৬%) ৫ লাখ টাকার কম স¤পদের মালিক। ২০১৮ সালের নির্বাচনের তুলনায় কম স¤পদের মালিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হ্রাস পেয়েছে।

বিশ্লেষণে বলা যায় যে, নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্বল্প স¤পদের মালিকদের হার যেমন হ্রাস পাচ্ছে, তেমনই অধিক স¤পদের মালিকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীদের স¤পদের হিসাবের যে চিত্র উঠে এসেছে, তাকে কোনোভাবেই স¤পদের প্রকৃত চিত্র বলা যায় না। কেননা, প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই প্রতিটি স¤পদের মূল্য উল্লেখ করেন না, বিশেষ করে স্থাবর স¤পদের। আবার উল্লেখিত মূল্য বর্তমান বাজার মূল্য না; এটা অর্জনকালীন মূল্য।

সুজনের প্রত্যাশা, যাতে ভোটাররা কী ধরনের প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সে সম্পর্কে ধারণা পাবেন। একইসাথে মেয়র প্রার্থীসহ স্ব স্ব এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থীদের তথ্য স¤পর্কে তারা জানবেন এবং প্রার্থীদের স¤পর্কে ভালভাবে জেনে, শুনে ও বুঝে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীদের সপক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আর এই জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের পদ্ধতিই হচ্ছে নির্বাচন। এই বাছাই প্রক্রিয়া যদি সঠিক হয়, তবে একথা বলা যায় যে, রাষ্ট্রের মালিকরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করছে। আর যদি সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রতিনিধি নির্বাচিত না হন, তবে সেকথা বলার সুযোগ থাকে না। তাই, জনগণের সম্মতির শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন তথা সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন পরিচালনার মূল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকলেও এতে অনেক অংশীজন (স্টেক হোল্ডার) সংশ্লিষ্ট থাকে। একটি নির্বাচন তখনই অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু হয়, যখন সকল অংশীজন স্ব স্ব অবস্থানে থেকে স্ব স্ব ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুজন:অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন, সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানের ভালো দৃষ্টান্তসমূহ অনুসরণ করুন। সকল দল ও প্রার্থীর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করুন। প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলেন, সে ব্যাপারে কঠোরতা প্রদর্শন করুন। কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করুন। কেউ নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যাতে তারা পক্ষপাতমূলক আচরণ না করেন, সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। নির্বাচনে কোনো এলাকায় ব্যাপক অনিয়ম হলে সেই এলাকার নির্বাচন স্থগিত করুন এবং প্রয়োজনে ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভোট গ্রহণ করুন। সরকারের প্রতি তিন ধরনেল আহ্বান, রাজনৈতিক দলের প্রতি তিন ধরনের আহ্বান ও ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সুজন।

সুজন করে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন স্ব স্ব অবস্থানে থেকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই রাজনৈতিক দলভিত্তিক এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলেও সার্বিক বিবেচনায় গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়বে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হওয়ায় কেসিসির নির্বাচনের দিকেও সারাদেশের সচেতন মানুষদের দৃষ্টি থাকবে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুজন বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রঞ্জু, জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, সম্পাদক এড. কুদরত ই খুদা, নগর কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক রমা রহমান, খালিশপুর কমিটির সভাপতি ডাঃ সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সম্পাদক খলিলুর রহমান সুমন প্রমুখ।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!