কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচন দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্জ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদি। তবে আব্দুস সামাদ বিশ্বাস কেশবপুর ১০টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ মন্তব্য করে জানান ভোটার আর সমার্থকদের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোল বাংলাদেশ ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনের ময়দানে ভোটের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কেশবপুর পৌরসভায় ২০ হাজার ৭২৫ জন ভোটার। ২০০৫ ও ২০১০ সালে কেশবপুর পৌরসভার প্রথম ও দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় প্রতীক না থাকলেও বিএনপি নেতা আলহাজ্জ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস অল্প ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মনোনীত ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন আব্দুস সামাদ বিশ্বাস এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রথম বারের মত প্রার্থী হন রফিকুল ইসলাম। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়ায় অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে বর্তমান মেয়র রফিকুল ইসলাম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে ১ মার্চ মেয়র হিসেবে রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর কেশবপুর পৌরসভাকে নান্দনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলেন। এ ছাড়াও পৌরসভা ব্যাপী বিভিন্নরকম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। যার কারণে বর্তমান নির্বাচনে দ্বিমুখী লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন এলকাবাসি।
এ দিকে বিএনপির প্রার্থী আব্দুস সামাদ বিশ্বাস ১০ বছর কেশবপুর পৌরসভার দ্বায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতার আলোকে আগামী দিনে কেশবপুর পৌরসভাকে নতুন ভাবে গড়ার আশ্বাস নিয়ে তিনি কার্যক্রম ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির কেশবপুর উপজেলার শাখার সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলা উদ্দীন আলাসহ অনেক মানুষ ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী শো-ডাউন করায় দলীয় নেতাকর্মীসহ আওয়ামীলীগের পৌর নির্বাচন কমিটি নড়ে চড়ে বসেছেন। উভয় দলের নেতা কর্মীরা ব্যাপকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। অপরদিকে হাত পাখা প্রতীকে আব্দুল কাদের বিশ্বাসও নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৫ বছরে পৌরসভাকে নান্দনিক ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছি। যার কারণে নৌকার ভোটারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবে আমার ব্যাপক ভোটার ও সমার্থক তৈরি হওয়ায় বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্জ্ব আব্দুস সামাদ বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আরও একবার নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আশা নিয়ে মাঠে নেমেছি। আমাদের দলগত ভাবে যথেষ্ট ভোট রয়েছে। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষের বিজয় হবে। তবে তিনি ১০টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ মন্তব্য করে ভোটার আর সমার্থকদের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান। এ দিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই