খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  আজ খুলছে সব স্কুল-কলেজ
  রাতভর জ্বলছে সুন্দরবন, দেড় কি.মি. এলাকাজুড়ে আগুন

কেশবপুরে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ

কেশবপুর প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইলিয়াস হোসেনসহ এলাকাবাসী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গণস্বাক্ষর করে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভরতভায়না বাজারে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ভরতভায়না গ্রামের মৃত কেসমত আলী সরদারের ছেলে ইলিয়াস হোসেনের ওই বাজারে পাকা ঘর রয়েছে। ভরতভায়না বাজারস্থ ১২০ নং খতিয়ানের ৩২৬৪ দাগের ঘরের সামনে ১/১ খতিয়ানে সরকারি জায়গায় একই গ্রামের মৃত কাশেম আলী মোল্লার ছেলে হাবিবুর রহমান ও গৌরিঘোনা গ্রামের মৃত ফজর আলী সরদারের ছেলে তাইজুল ইসলাম জোরপূর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাইজুল চায়ের দোকান ও হাবিবুর ক্যারাম বোর্ডের দোকান করেছে। এ বিষয়ে ভরতভায়না বাজার কমিটির নের্র্তৃবৃন্দসহ গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব ও মেম্বার আবজাল হেসেন বারবার হাবিবুর ও তাইজুলকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বললেও জোর প্রকার কর্ণপাত করেনি তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভরতভায়না বাজারে ইলিয়াস হোসেনের পাকা ঘরের সামনে সরকারি জমিতে তাইজুল ইসলাম কাঠের তৈরি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে চায়ের ব্যবসা করছে। একইভাবে হাবিবুর রহমান ক্যারম বোর্ডের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ভরতভায়না বাজারের কামরুল ইসলাম, জাফরুল ইসলাম, আলতাফ শেখ, বাবলুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মফিজুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ইলিয়াস হোসেনের পাকা ঘরের সামনে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে তাইজুল চায়ের ব্যবসা ও হাবিবুর ক্যারাম বোর্ডের ব্যবসা করছে। তাদেরকে বাজার কমিটির নের্তৃবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বারংবার নিষেধ করা এবং অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলেও কোন গুরুত্ব না দিয়ে বহাল তবিয়তে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দু’জন বাজারের পরিবেশ নষ্ট করায় এলাকার সাধারণ জনগনের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি দেখা দিয়েছে। যার কারণে অবৈধ নির্মাণ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে ঘর মালিক ইলিয়াস হোসেনসহ এলাকার সাধারণ জনগন গণস্বাক্ষর করে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাইজুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা ঘর জনৈক বজলুর রহমানের নিকট থেকে জামানত দিয়ে ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছি। জোরপূর্বক দখল করার ঘটনা সঠিক না।

গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বারবার তাইজুল ও হাবিবুরকে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক বহাল তবিয়তে রয়েছে। ওরা এলাকায় কাউকে সম্মান করে না বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!