খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  আসামিদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা
  হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিতে বাধা নেই, হাইকোর্টে রিট খারিজ

কেশবপুরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের কেশবপুরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছেলে মনিরুজ্জামান মিন্টুকে হত্যার অভিযোগে বিজয়ী চেয়ারম্যানসহ আট জনকে আসামি করে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সাতবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর স্ত্রী নিহতের মা নৌকা মার্কার প্রার্থী শামসুন নাহার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদী হাসান অভিযোগটি গ্রহণ করে, এ বিষয়ে থানায় মামলা আছে কিনা সে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কেশবপুর থানার ওসিকে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো, কেশবপুরের সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, শেখ সাইফুল্লাহ, আজাহারুল, চা দোকানী ইমদাদুল হক ইমদাদ, আব্দুর রাজ্জাক, আলমগীর হোসেন ও তরিকুল ইসলাম।

মামলায় বাদী বলেছেন, গত ৫ জানুয়ারি কেশবপুরের সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হন শামসুন নাহার। তার ছেলে মনিরুজ্জামান মিন্টু ঢাকায় থাকতেন। মা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় মনিরুজ্জামান বাড়ি ফিরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাতে আসামি আমজাদ হোসেন ফোন করে মনিরুজ্জামানকে সাতবাড়িয়া বাজারের এমদাদের চায়ের দোকানে যেতে বলেন। এ কথায় মনিরুজ্জামান এমদাদের চায়ের দোকানে যায়। দোকানে উপস্থিত আসামিদের সাথে কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর তারা কৌশলে চায়ের মধ্যে বিষাক্তদ্রব্য মিশিয়ে দেয়। সেই চা পানের সাথেই মনিরুজ্জামান ছটফট শুরু করে। পরে মাটিতে পড়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

বাদী দাবি করেন, তাকে নির্বাচনে পরাজিত করানোর উদ্দেশে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে চায়ের মধ্যে বিষাক্তদ্রব্য মিশিয়ে ছেলেকে খায়িয়ে হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী শামসুন নাহার পরাজিত হয়। গোলাম মোস্তাফা জয়লাভ করেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। প্রতিপক্ষ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!