খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির ভিত্তিতে সরকার শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে : চিফ প্রসিকিউটর
  জুলাই-আগস্ট গণহত্যার মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনের শুনানি চলছে
  শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ করা ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

কেশবপুরে গাছ বিক্রি করে বিপাকে মালিকরা

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুরে নিজেদের জমিতে লাগানো ৩ টি শিশু গাছ বিক্রি করে বিপাকে পড়েছেন গাছ মালিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জমির মালিক মিজানুর রহমানের সাথে।

কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কেশবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১৮ নং রঘুরামপুর মৌজার ১৯২ খতিয়ানের ১৭৫ দাগের ৪০ শতক জমির মালিক রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আকবার আলী গাজির পুত্র ও সাগরদাঁড়ি বেসরকারি সংস্থার (আইডিও) পরিচালক মিজানুর রহমান। উক্ত জমিতে তাদের পিতার লাগানো ৩ টি শিশু গাছ রয়েছে। সেই গাছ ৩টি বিক্রি করেন তারা।

এ সময়ে এলাকার কে বা কারা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানায় রঘুরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জমির গাছ বিক্রি করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলামকে বিষয়টি দেখতে বলেন। প্রধান শিক্ষক গাছ মারতে নিষেধ করেন। এসময় জমির মালিকদের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়। প্রধান শিক্ষক তার সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান ও তার সাথে অসদাচরণের অভিযোগ এনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ঐ জমি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় তাদের পূর্বপুরুষ বিদ্যালয়কে দান করে গেছে। তাই গাছ মারতে নিষেধ করা হয়েছে।

জমির মালিক রঘুরামপুর গ্রামের মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দানকৃত জমি সম্পূর্ণ আলাদা যার খতিয়ান নং ২১৫ ও দাগ নং ১০৩,ও ১০৪। জমির পরিমান ৪৩ শতক। তারপরেও ঐ জমির মালিক ৭ জনের মধ্যে দুই জন দান করেছিল। শর্ত ছিল দানকৃত জমিতে বিদ্যালয় করতে হবে, আর তা না হলে দানকৃত জমির দলিল বাতিল বলে গণ্য হবে। অথচ ঐ জমিতে বিদ্যালয় হয়নি। তা ছাড়াও ঐ জমির রেকর্ড সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলছে৷ আর ঐ জমি এজমালি সম্পত্তি ও আমাদের কবরস্থান। অথচ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন কারণ ছাড়াই আমাদেরকে হয়রানি করছেন। যে জমির গাছ আমরা বিক্রি করেছি তার খতিয়ান নং ১৯২ আর দাগ নং ১৭৫ জমির পরিমান ৪০ শতক।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গাছ নিয়ে তেমন কোন বিতর্ক নেই। তৃতীয় পক্ষের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করেছেন। যার কারণে বিষয় টি নিঃস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত গাছ মারতে নিষেধ করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!