কেশবপুরে গত এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫১ জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ৭দিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। গত ২৩ জুন হতে সপ্তাহ ব্যাপী লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহে কেশবপুরে করোনা পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩১ জনকে, পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে ৫১ জনকে।
গত সপ্তাহে কেশবপুর উপজেলায় করোনা পজিটিভ আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামের ফজিলাতুন্নেছা(৮০) ও বাগদাহ গ্রামের মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮)। এছাড়াও ২৩ ও ২৪ জুন করোনা পজিটিভ উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে কেশবপুর পৌরসভার হাবাসপোল এলাকার মানিক সরদার (৫৫) ও শহরের হাসপাতাল সড়কে মহিউদ্দিনের স্ত্রী (৪৭)।
গতকাল হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রুগী ভর্তি ১৩ জন। গতকাল নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হয়েছে কেশবপুর উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হেদায়েতুল ইসলাম সহ চার জন।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন কেশবপুরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন হয়ে গেছে। লকডাউন আরো কঠোর করতে হবে।
এদিকে কেশবপুর উপজেলায় গতকাল লকডাউন চলাকালে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইরুফা সুলতানা শহরের হাসপাতাল মোড়ে মফিজুর রহমানের হোটেলে অভিযান চালিয়ে নোংরা পরিবেশ ও পচা বাসি খাবার গোপনে বিক্রি ও হোটেলের ভিতরে খাওয়ানোর অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন কেশবপুর শহরে মাইকিং করে লকডাউন চলাকালে এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বিধি নিষেধ না মানায় পথচারীদের মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই