খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

কেশবপুরের সেই ইউপি সদস্যের অর্থ আত্মসাৎ প্রমানিত

কেশবপুর প্রতিনিধি

কেশবপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন  ইউপি সদস্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে করা লিখিত অভিযোগের তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের বেলকাটি গ্রামের জয়নাব বেগম, আনোয়ারা বেগম ও আবুবকর দফাদার বেলকাটি গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাবার আশায় এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন। ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের কাছে টাকা দিলে তিনি ওই অসহায় মানুষদের ঘর দেবার আশ্বাস দেন।

জয়নাব বেগম ওই এলাকার রাস্তার ধারে টং ঘর বানিয়ে অন্যের জমিতে থাকেন। তার স্বামী হেলাল হোসেন দিন মজুর। তাদের একটি ছেলে ও মেয়ে আছে। ওই সংসারে তার মাও থাকেন। জয়নাব পরের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। তিনি জানান, ৮/ ৯ মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর জমিসহ ঘর দেবার কথা শুনে তিনি এলকার ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন। একটি ঘরের জন্য ইউপি সদস্য ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। জয়নাব ৬০ হাজার টাকা ওই ইউপি সদস্যকে দেন। টাকা দেবার পরেও ঘর না হওয়ায় তারা মেম্বরের সাথে যোগাযোগ করলে খলিলুর রহমান তাদের টাকা ফেরৎ দিতে অস্বীকার করেন। ইউপি সদস্য তাকে অব্যহতভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এরপরে জয়নাব বেগম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর কেশবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জয়নাব বেগম ঘর পাওয়ার জন্যে এবং অর্থ ফেরৎ পেতে ১৬ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও লিখিত অভিযোগ করেন।

আনোয়ারা বেগম জানায়, ঘর পাওয়ার আশায় খলিল মেম্বরকে তিনি ৭ হাজার টাকা দেন। ঘর না হওয়ায় টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে খলিল মেম্বর তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। তিনি টাকা ফেরৎ পেতে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২২ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করেন।

আরো একজন ভুক্তভোগী আবুবকর দফাদার। পেশায় দিন মজুর, মাথা গোজার জন্য নিজস্ব কোন জমি নেই। তিনি অন্যের জমিতে থাকেন। চার জনের সংসারে অভাব অনটনের মধ্যেই চলে তার। ঘর পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্যের কাছে গেলে তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় দিনমজুর আবুবকর ধার করে ১২ হাজার টাকা দেন খলিল মেম্বরকে। পরে ঘর না পেয়ে টাকা ফেরৎ পেতে তিনিও ১৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘তদন্ত করে টাকা নেওয়ার সত্যতা পাওয়ায় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে শান্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যশোরের জেলা প্রশাসককে লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে।’

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!