খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Breaking News

  জামালপুরে ধান মাড়াই করতে গিয়ে তাঁতী লীগ নেতার মৃত্যু
  দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
  মানিকগঞ্জের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গাড়িচাপায় দুই সবজি বিক্রেতা নিহত
  গাজীপুরের শ্রীপুরের একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

কলাপাতায় খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

সকাল, বিকাল, রাতে নাস্তা কিংবা ভরপেট, স্টিলের থালা বা কাচের প্লেটেই খাওয়ার অভ্যাস সকলের। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কিছু অভ্যাস হয়তো অস্বাভাবিক হলেও বদলাতে হয়। তাহলে আর দেরি নয়। বদলে ফেলুন অভ্যাস, ফিরিয়ে আনুন পুরনো রীতি। কলাপাতায় খান। বিপদজনক রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।

ভারতীয় চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, কলাপাতার রসে রয়েছে প্রচুর গুণ। আর সেই রস খাবারের সঙ্গে মিশলে ভরপুর পুষ্টি পৌঁছবে আপনার শরীরে। তার জন্য করতে হবে না কোনও অতিরিক্ত পরিশ্রম।

কলাপাতার রসে রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড, ক্যাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ট্যানিন। টনিকের কাজ করে এই রস। কিন্তু অবশ্যই, কলাপাতার রস করে খাওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। শুধুমাত্র, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার কলাপাতায় খেলেই অনেকটা কার্যকর হবে।

কিন্তু মনে হতে পারে, ফ্ল্যাট বাড়ি কালচারে কলা গাছ কোথায় পাবেন! দিনের প্রতি খাবার কলা পাতায় সম্ভব না হলেও যেকোনও একটা বা দুটো সময়ের খাবার খাওয়ার সময় কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস করুন।

কলাপাতায় খেলে পেটে রোগ, এবং সেখান থকে জ্বর সর্দি, পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না রোগ। আমাদের দেশে কলাপাতার চল উঠে গেলেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে এখনও প্রচলিত রয়েছে কলা পাতায় খাওয়া।

চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিসে আশ্চর্য উপকার। কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তাল্পতা, চর্মরোগে কলাপাতার রস ম্যাজিকের মতো কাজ করে। লিভারের সমস্যা সারায়। ব্লাড প্রেশার কমায়। টিবি, আন্ত্রিকের মতো রোগেও ভাল কাজ করে কলাপাতার রস। এমনই বলছেন চিকিত্সকরা। স্বাস্থ্যকর কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনল। প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কলাপাতায় খেলে খাবারের সঙ্গে পলিফেনল মিশে পুষ্টি জোগায়। ফ্লেভার কলাপাতার গায়ে মোমের মতো একটা আবরণ থাকে। চমত্কার একটা ফ্লেভার থাকে। খাবারের সঙ্গে মিশে খাবারকে আরও টেস্টি করে তোলে।

ইকো-ফ্রেন্ডলি প্লাস্টিক বা কাগজের প্লেটের চেয়ে কলাপাতা অনেক বেশি ইকো-ফ্রেন্ডলি। ব্যবহারের পর খুব অল্প সময়ে নষ্ট হয়ে যায়। স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়ার আগে কলাপাতা খুব বেশি ধোয়ার প্রয়োজন নেই। অল্প একটু পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই খাওয়া যায় তাতে।

স্টিলের থালা হোক বা কাচের প্লেট, ভাল করে ধুতে হয়। খুব ভাল করে ধুলেও সাবানের রাসায়নিক প্লেটে লেগে থাকতে পারে। কিন্তু কলাপাতায় এসবের প্রয়োজন নেই। তাই খাবারও থাকে রাসায়নিকমুক্ত।

প্র্যাকটিকাল আকারে বড়। খাওয়ার সময় অনেক কিছু একসঙ্গে কলাপাতায় নেওয়া যায়। মোমের মতো আবরণ থাকায় ওয়াটারপ্রুফ। তাই ঝালে-ঝোলে-অম্বলে কলাপাতা ইজ দ্য বেস্ট বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

খুলনা গেজেট/কেএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!