খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৬ মে, ২০২৪

Breaking News

  চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাকের সঙ্গে ভটভটির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
  রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২

কয়রায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার কয়রায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নিহতের বোন জুলেখা খাতুন বাদী হয়ে কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভগ্নিপতিসহ চারজনকে আসামী করে ১২ মে মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, নিহতের স্বামী ইসমাইল সরদার,তার ভাই কামরুল সরদার,ভাইপো বিল্লাল সরদার ও প্রথম স্ত্রীর ছেলে খানজাহান সরদার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার তরফদার। নিহত ছায়েরা খাতুন মহেশ্বরীপুর গ্রামের মোক্তার সরদারের বড় মেয়ে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের তেতুলতলা গ্রামের তিন সন্তানের জননী ছায়েরা খাতুন(৫০) কে তার স্বামী ইসমাইল সরদার সহ চারজন গত ২৮ এপ্রিল সকাল ১১ টার দিকে পিটিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার অভিযোগ তোলে।বিষয়টি কয়রা থানা পুলিশ জানতে পেরে নিহতের লাশ উদ্দার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।ময়না তদন্ত শেষে ছায়েরা খাতুনের লাশ স্বামী গ্রহণ করে নিজ বাড়ীতে দাপন না করায় মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ছায়েরা খাতুনের আত্মীয়স্বজনেরা জানতে পারে আত্মহত্যা নয়, সিমানা পিলারের জের তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত ছায়েরা খাতুনের চাচাতো ভাই ডালিম হোসেন বলেন, ছায়েরা খাতুন ইসামাইলের ২য় স্ত্রী। বাড়ীতে একটি সিমানা পিলার পাওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ছায়ের খাতুনের সাথে বাকবিতণ্ডা চলে। এই ঘটনায় প্রায় সময় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া চলতে থাকে।নিরুপায় হয়ে ঘটনার পূর্বে ছায়েরা খাতুন ১৭ থেকে ১৮ দিন তার বোনের বাড়ীতে অবস্হান করেন। সেখান থেকে গত ২৬ এপ্রিল ইসমাইল তার স্ত্রীকে অভিমান ভাঙিয়ে বাড়ীতে নিয়ে আসে। এরপর ২৮ এপ্রিল তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আত্মহত্যা করে মারা গেছে বলে প্রচার চলানো হয়।

মামলার বাদী জুলেখা খাতুন বলেন,আমার বোন আত্মহত্যা করেননি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহা বলেন, আদালতের আদেশ এখনো পাইনি। হাতে পেলে আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!