খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানে খননকার্যক্রম শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনার তত্ত্বাবধায়নে উপজেলার রেজাকপুর গ্রামের কপিলমুনি ঢিবি (স্থানীয়ভাবে শিংয়ের বাড়ি নামে পরিচিত) বাগানে বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই খনন কাজ শুরু হয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খুলনা ও বরিশাল বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতা জানান, প্রাচীনকালের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন অনুসন্ধানে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পাইকগাছা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় জরিপ ও অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। জরিপ শেষে শনাক্তকৃত উল্লেখযোগ্য স্থাপত্যিক ঢিবিগুলোর মধ্যে শিংয়ের বাড়ি কপিলমুনি ঢিবিটিকে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক মাস এই খনন কাজ চলবে বলেও জানান তিনি।
আফরোজা খান মিতা আরো জানান, তাদের টিমে ৪ জন কর্মকর্তা, ৫ জন বিভিন্ন গ্রেডের কর্মচারী, বগুড়ার মহাস্থানগড়ের ২ জন দক্ষ খনন শ্রমিক বাগেরহাটের ৪ জন খনন শ্রমিক ও স্থানীয় ১০ জন শ্রমিক রয়েছেন ।
তাদের ধারণা, প্রাচীণকালের অনুদঘটিত স্থাপত্য,প্রত্নতাত্তি্বক নিদর্শনের সন্ধান পাবেন তারা। খননের প্রথম দিনে তারা প্রাচীণ আমলে সেখানে বসবাসরতদের ব্যবহৃত মাটির তৈরী বিভিন্ন তৈজসপত্রের ভগ্নাংশ নমুনা হিসেবে উদ্ধার করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবন উপকূলীয় পাইকগাছা উপজেলার এই জনপদে প্রাচীনকালের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন বংশের বিশেষ ব্যক্তিদের বসবাস ছিল। কালক্রমে তাদের সেসব স্থাপনা মাটির নীচে চাপা পড়ে আছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই