খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ বলেছেন, “এম.এ বারী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। দক্ষিণাঞ্চলে আওয়ামী রাজনীতিকে যে ক’জন সংগঠক ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। মহান ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এম.এ বারী স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বৃহত্তর খুলনা-৬ আসনের সংসদ নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের বৃহত্তর খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ বারীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার বিকাল ৫ টায় দলীয় কার্যালয়ে এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.ডি.এ বাবুল রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধরণ সম্পাদক এ্যাড সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর বরকত আলী, এম.এ বারীর সুযোগ্য পুত্র ও খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এমএ নাসিম।
খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মো: আবু হানিফের সভাপতিত্বে এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আজিজুর রহমান রাসেলের পরিচালনায় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: জিলহাজ্ব হাওলাদার, কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক গাজী মোফাজ্জেল হোসেন, মো : জাহাঙ্গীর হোসেন, আবির মালিক, মোঃ হুমায়ুন কবির মিজানুর রহমান মিজান, শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, শফিকুল ইসলাম অভি প্রমুখ।
স্মরণ সভা শেষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আজমীরি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান।
এছাড়াও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বাদ জুম্মা নগরীর টিবি ক্রস রোডস্থ মসজিদের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা গেজেট / আ হ আ