সবজির রাজধানী খুলনার ডুমুরিয়া থেকে এবার মিষ্টি কুমড়া ও লাউ রপ্তানী হবে। উল্লিখিত দু’সবজির চাষ হয়েছে উপজেলার মাঠের পর মাঠে। ৯শ’ জন কৃষক এর আবাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। গেল বর্ষা মৌসুমে পটল, কচুর লতি, পেঁপে ও কাঁচ কলা রপ্তানী হয়। চাহিদা ছিল ইউকে ও ইটালীতে।
ঢাকার রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান এনএইচবি ও আর এন উল্লিখিত সবজি দু’টির আবাদের জন্য স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করেছে। পরামর্শ দিয়েছে লাউ ও কুমড়ার ওজন এককেজির ওপরে হবে না। বিদেশীদের আকর্ষণ এককেজি ওজনের সবজি।
রপ্তানীকারকদের পরামর্শে উপজেলার বরাতিয়া, খণিয়া, বামনদিয়া, গোবিন্দকাটি, ফুলবাড়িয়া, আটলিয়া ও শোভনাগ্রামে এসব সবজির আবাদ হয়েছে। টিপনা ভিলেজ সুপার মার্কেট থেকে রপ্তনীকারকরা এ সবজি রপ্তানী করবে। গেল মৌসুমে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের দু’মেট্রিক টন সবজি রপ্তানী হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, পানি কচুর ডাটা শুকিয়ে রপ্তানী করা হচ্ছে। এর প্রতিকেজির মূল্য ১৪০ টাকা। ঘোনা বান্দা, শলুয়া, খলসি, বরাতিয়া, বিল পাবলা, কুলটি ও পঞ্চুতে পানি কচুর আবাদ হয়েছে। উপজেলায় এ ছাড়া ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে লতি কচু, কচুর মুখী, ওল, ঢেঁড়স,বেগুন, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গার আবাদ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শষ্য) মো: মোসাদ্দেক হোসেন জানান, বিদেশে রপ্তানীর ফলে কৃষকদের মধ্যে উল্লিখিত দু’টি জাতের সবজি আবাদের চাহিদা বেড়েছে। এবারও পটল, কাঁচ কলা, কচুর লতি ও পেঁপে রপ্তানী হবে।
উপজেলার কৃষকরা করোনা পরবর্তী এবারই এ প্রথম কাঙ্খিত দাম পেয়েছে। উপজেলার দত্তডঙ্গার কৃষক কুমারেশ মন্ডল, ধর্মদাশ মন্ডল ও সৌরভ মন্ডল প্রাড় দেড় বিঘা জমিতে লাউয়ের আবাদ করেছে।
শোভনা গ্রামের কৃষাণি রীতা রাহা ১০ কাঠা জমিতে লাউয়ের আবাদ করেছে। ভারী বৃষ্টির আগ পর্যন্ত লাউ ও মিষ্টি কুমড়া বাজারে তোলা হবে বলে চাষীরা আশাবাদী। তারা রপ্তানীর সুযোগ নেবেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম