খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

এবার আর ওয়াক ওভার পাবে না আওয়ামী লীগ : মির্জা ফখরুল

গেজেট ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কথা বেশি নয়, কথা একটাই, এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এবার আমাদেরকে জয়ী হতেই হবে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরব বঙ্গ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক কে? তিনি হলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, এ দেশের সব রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রবর্তক, আধুনিক রাষ্ট্রের রূপকার, জিয়াউর রহমান এবং এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বড় সন্তান।

বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা লড়াই করেছি, ফ্যাসিস্ট পতন ঘটানোর জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জন্যই লড়াই করে যাচ্ছি। এই সরকার স্বাধীনতার যে অর্জন সব নষ্ট ও ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা এ দেশের আত্মাকে নষ্ট করেছে।

তিনি বলেন, এই সরকার একটি লক্ষ্য নিয়েছে, যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আন্দোলন করবে তাদেরকে জেলে ঢুকিয়ে গ্রেফতার করে স্তব্ধ করতে করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে কি জনগণের আন্দোলন থামতে পারবে না। এ আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে, আন্দোলন করে এদেরকে পতন ঘটানো ছাড়া অন্যকোন পথ নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় আওয়ামী লীগ। এবার আর ওয়াক ওভার পাবে না আওয়ামী লীগ। এ দেশের জনগণ ফাঁকা মাঠে আর হতে দেবে না।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, আসুন আমরা পণ করে সামনে দিকে এগিয়ে যাই, এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কবিরা লিখছেন, সকল দেশের রানী আমরা জন্মভূমি, কিন্তু এখন দেশে কেউ থাকতে পারে না, চাই না। কারণ, যে দেশে রাজত্ব করে পাপীরা, সে দেশ আর ভালো মানুষ থাকতে পারে না। এমনি এক অবস্থা যাচ্ছে দেশে।

তিনি বলেন, প্রতিদিন কোর্টের লোহার শিকলে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে, পুলিশ আরো এক দাসত্ব বাহিনী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচারকরা অতিদ্রুত আমাদের সাজা দেয়া চেষ্টা করে যাচ্ছে, যাতে আমাদেরকে জেলে ঢুকিয়ে আগের মতো নির্বাচন করতে চায়। এজন্য আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

‘সবাই এখন এমপি আর মন্ত্রী হতে চায়, কিন্তু দেশটা বাঁচাতে চাই কয়জন? স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এত নেতা ছিল না আমাদের কিন্তু, আমরা তো বিজয়ী হতে পেরেছিলাম। এখন তো নেতা বেশি, কেউ কাজ করে না, ছাত্রদের তো আন্দোলনে দেখি না।’

তিনি বলেন, যতই চেষ্টা করুক শেখ হাসিনা, সে এককভাবে নির্বাচন করতে পারবে না, এটা আমি বলে গেলাম।

তিনি বলেন, জয় নিশ্চিত, কারণ আমরা সত্যের পক্ষে আছি। জয় আমাদের হবেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ প্রমাণিত হয়েছে, কেন সেদিন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের টার্গেট হয়েছিল। সে টা আজ প্রমাণিত।

তখন তারেক রহমান শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের চোখের শূল হয়েছিল। এ জন্য তার ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরই তারেক রহমান, এই অনুপম এর কারণেই তার ওপর এত নির্যাতন। এখনও সে ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি, চালু আছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখনও খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বেচেঁ আছেন। কিভাবে তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করা যায়, সকল চেষ্টাই শেখ হাসিনা করে যাচ্ছে। কারণ শেখ হাসিনা দিয়ে বিদেশীদের যে স্বার্থ নিতে পারবে কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কে দিয়ে তো এমন স্বার্থ হাসিল করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমি কখনো দেখিনি, বিচারপতিরা এতো আগ্রহ নিয়ে বিচার কাজ করছে, যাতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা অতি দ্রুত সম্পূর্ণ করা যায়। আমাদের এগুলার কোর্টে যেতে হচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা স্বাক্ষী দেয়া আগে, বিচারকদের রুমে গিয়ে মুখস্ত করে এসে এবং মোবাইল দেখে এজলাসে স্বাক্ষী দিয়ে যাচ্ছে। এটা কারো শোনা নয়, নিজের চোখে দেখা।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাতানো নির্বাচনে যারা সহযোগিতা ও কাজ করে যাবেন। তারা এই দেশের জনগণের কাছে তারা কালো তালিকায় ভুক্ত হবেন। জানেন, শেখ হাসিনার ভয় কিসে? জনগণ। আর আমাদের ভরসা জনগণ আর গণমাধ্যম।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অঙ্গীকার করবো, যে আমাদের বিজয় না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান ফজলুর রহমান খোকন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!