জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২৩তম আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় স্তরে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের সুবাদে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অপর ম্যাচে, রাজশাহীর পক্ষে রান পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তানজিদ হাসান তামিম।
চট্টগ্রাম বনাম বরিশাল : চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বরিশাল। ১০ রানের ভেতর বিদায় নেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল ও মঈনুল ইসলাম। আশরাফুল ৮ বলে ৪ রান করেন। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বরিশাল।
ষষ্ঠ উইকেটে রাফসান আল মাহমুদ ও মঈন খান ১০০ রানের জুটি গড়ে বরিশালকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান। ১২১ বলে ৪৫ রান করে মঈন শিকার হন হাসান মুরাদের বলে। তারপর আর কেউ রাফসানকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ১৪২ বলে ৬০ রানে থামেন রাফসান। তাকেও শিকার করেন মুরাদ।
৫৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে বরিশাল সংগ্রহ করে ১৪৬ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে মুরাদ পাঁচটি এবং নাঈম হাসান চারটি উইকেট শিকার করেন। মেহেদী হাসান রানা পান একটি উইকেট।
স্বল্প রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ২১ রান। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে সাদিকুর রহমানকে শিকার করে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আশরাফুল। পরের দুই বলে যথাক্রমে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি চৌধুরিকে শিকার করে আশরাফুল হ্যাটট্রিক করেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক।
আশরাফুলের হ্যাটট্রিকের পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম। আশরাফুল ও মনির হোসেনের পাঁচ উইকেট ভাগাভাগির দিনে চট্টগ্রাম অলআউট হয় ৮৭ রানে। সর্বোচ্চ ২০ রান করেন মোহাম্মদ ইরফান। আশরাফুল ৫৩ রানের বিনিময়ে পাঁচটি ও মনির ১৫ রানের বিনিময়ে পাঁচটি উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বরিশাল
বরিশাল ১৪৬/১০ (৫৮.৩ ওভার)
রাফসান ৬০, মঈন ৪৫, আশরাফুল ৮;
মুরাদ ৫/২৬, নাঈম ৪/৪৫।
চট্টগ্রাম ৮৭/১০ (২৯.৩ ওভার)
ইরফান ২০, ইমন ১৭, দীপু ১৪;
মনির ৫/১৫, আশরাফুল ৫/৫৩।
বরিশাল ৫৯ রানে এগিয়ে।
রাজশাহী বনাম ঢাকা মেট্রো : কক্সবাজারে টস জিতে ব্যাট করতে নামে রাজশাহী। শুরুতেই জহুরুল ইসলামকে সাজঘরে ফেরান আবু হায়দার রনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৪ রানের জুটি গড়েন তামিম ও শান্ত। তামিমকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন আল-আমিন জুনিয়র। তামিমের উইলো থেকে আসে ১০৫ বলে ৭৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা।
তৃতীয় উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন শান্ত ও জুনায়েদ সিদ্দিক। রকিবুল হাসানের বলে শান্ত এলবিডব্লিউ হলে ভাঙে এই জুটি। ফেরার আগে শান্ত করেন ১৩৮ বলে ৬৭ রান। জুনায়েদ ১০৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। উইকেটরক্ষক প্রীতম কুমার ৫০ বলে করেন ৩৮ রান।
রাজশাহী অলআউট হয় ২৫২ রানে। মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ পাঁচটি উইকেট শিকার করেন। রকিবুল পান তিনটি উইকেট।
শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে ৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো। প্রথম দিন শেষে ২৪৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : রাজশাহী
রাজশাহী ২৫২/১০ (৮২.৫ ওভার)
তামিম ৭৭, শান্ত ৬৭, জুনায়েদ ৩৯, প্রীতম ৩৮;
শরিফউল্লাহ ৫/৭০, রকিবুল ৩/৬৪।
ঢাকা মেট্রো ৩/০ (৫ ওভার)
সাদমান ২*, রাকিন ১*।
রাজশাহী বিভাগ ২৪৯ রানে এগিয়ে।
খুলনা গেজেট/ টি আই