খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর নিয়োগ নিয়ে ছাত্রদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  ৭ দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
  ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
  ৪০তম ব্যাচের ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

এক বছরে খুলনায় সাত পণ্যের মূল্য বেড়েছে কেজিতে গড়ে ৮ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গেল বছরের তুলনায় এ বছরের শেষ মাসে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। খুলনায় এক বছরের ব্যবধানে সাত পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে গড়ে কেজি প্রতি ৮ টাকা। বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশসনের পক্ষ থেকে আলুসহ শাক-সবজির মূল্য ২০-৩০ শতাংশের বেশি লাভ না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমনিতেই করোনার ধাক্কা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষকে।

জেলা মার্কেটিং অফিসের পক্ষ থেকে গত ৬ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুরগি, ডিম, হলুদ ও আটাসহ কয়েকটি পণ্যের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। অথচ গত বছরের ৪ ডিসেম্বরের তুলনায় এ বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি পণ্যে গড়ে কেজিতে ৮ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মোটা চাল ৩০-৩২ টাকার স্থলে ৪৩-৪৫ টাকা, মাঝারি চাল ৩৬-৪০ টাকার স্থলে ৫০-৫২ টাকা, চিকন চাল ৫০-৫২ টাকার স্থলে ৫৮-৬০ টাকা, মসুরির ডাল ১১৬-১২০ টাকার স্থলে ১২০-১২৫ টাকা, আমদানিকৃত ডাল ৫৮-৬০ টাকার স্থলে ৭০-৭২ টাকা, সয়াবিন তেল ৮৪-৮৫ টাকা লিটারের পরিবর্তে ৮৭-৮৮ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ৮৮-৯০ টাকার স্থলে ৯৩-৯৪ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকার স্থলে ৮০-১২০ টাকা, চিনি ৫৬-৬০ টাকার স্থলে ৬৪-৬৬ টাকা, আলু (পুরাতন) ২৮-৩০ টাকার স্থলে ৪৫-৫০ টাকা, আলু (নতুন) ৩০ টাকার পরিবর্তে ৬৫-৭০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০-৫২০ টাকার পরিবর্তে ৫২০-৫৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মো: ইব্রাহিম হোসেন জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। পেঁয়াজের মূল্য কিছুটা কমেছে। নতুন ও পুরাতন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। টিসিবি এখনও পেঁয়াজ বিক্রি করছে। বাজার দর নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

খুলনা জেলা বাজার কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদার জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে আলু আসার পরিমাণ বেড়েছে। আলুতে কেজি প্রতি দু’টাকা লাভ করার জন্য আড়তদারদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আলুর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং শাক-সবজির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশের বেশি লাভ না করার জন্য খুচরা ব্যবসায়িদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িদের সাথে দফায়-দফায় বৈঠক করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমন কাটা শেষ হলে চালের মূল্য কমতে শুরু করবে।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!