খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ | ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরে কারখানায় আগুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫

একমাস ৫ দিন পর খুললো নড়াইলের সেই কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নড়াইল

নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্চিত করার ঘটনার একমাস ৫ দিন পর খুললো সেই কলেজ।

যদিও আজ থেকে শুধুমাত্র কলেজের প্রশাসনিক কাজের জন্য কলেজ খোলা থাকবে। পর্যায়ক্রমে কলেজের ক্লাস শুরু হবে। পরিক্ষান কারণে প্রথমে এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।

জানাগেছে, আগামীকাল ২৫ জুলাই শুধুমাত্র এইচ.এস.সি পড়ুয়া ২য় বর্ষের ক্লাস নেওয়া হবে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এখনো নিজ বাড়িতে ফেরেননি, তিনি কলেজেও আসেননি। তিনি কবে কিভাবে কলেজে আসবেন সেটা পরে জানানো হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে দীর্ঘ ১মাস ৫দিন পর কলেজ খোলায় খুশি শিক্ষকেরা। তারা বলেন, এলাকার পরিবেশ এখন ভালো। কলেজ খোলায় শিক্ষার্থীরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, মির্জাপুর ডিগ্রি কলেজে একটা অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর থেকে ১মাস ৫দিন কলেজ টা বন্ধ ছিলো। আজ থেকে এই কলেজ শুরু হয়েছে। আগামী কাল থেকে দ্বাদশ শ্রেণির স্টাডি কার্যক্রম শুরু হবে। খুব দ্রুত এই কলেজের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।

উল্লেখ্য গত ১৮ জুন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে লেখেন-প্রণাম নিও বস ‘নূপুর শর্মা’ জয় শ্রীরাম। এ পোস্ট দেয়ার পর গত ১৮ জুন সকালে কলেজে আসেন রাহুল। এরপর তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও সে পোস্ট মুছেননি। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীসহ বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজ চত্বরে থাকা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে দেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। অধ্যক্ষ লাঞ্চনা ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় মির্জাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মুরসালিন বাদি হয়ে অজ্ঞাত ১৭০/১৮০ জনকে আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এ প্রযর্ন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের একটি মোট দুটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়।

এছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা বিএল কলেজের অনার্স ফাইনাল বর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ছাত্র মোঃ রহমত উল্লাহ বিশ্বাস ওরফে রনির (২৩) ছাত্রত্ব বাতিল করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)শওকত কবিরকে খুলনায় বদলি করা হয়।

 




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!