খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু
  চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবদল নেতা নিহত

উপাচার্যদের হাতে-পায়ে ধরে দায়িত্ব দিয়েছি, কেউ স্বেচ্ছায় নেননি: শিক্ষা উপদেষ্টা

গেজেট ডেস্ক

শিক্ষকদের মর্যাদাহানি হয় এমন কোনো কাজ করা থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। তিনি বলেন, এ সময়ে যারা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা কিন্তু দায়িত্ব চেয়ে নেননি। আমরা হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। রোববার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিনেট ভবনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিগত বছরে কি হয়েছে আমরা জানি। শিক্ষক নিয়োগের বদলে ভোটার নিয়োগ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা মেধার বিকাশ ও শিক্ষা অর্জনের জন্য এসেছি। সেখানে নিজেরা দলাদলি করলে নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয় চরমভাবে ব্যর্থ হবে। শিক্ষকদের কার্যক্রম যেন পরিবেশকে নষ্ট না করে সে দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হবে।

অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বদলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন প্রক্টররা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কে কী লিখছে তা নজরদারি করতেন। শিক্ষক হিসেবে কত নিচে নেমেছি আমরা। এটা তার বাস্তব উদাহরণ। ড. জোহা (সাবেক প্রক্টর, রাবি) পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। আর ঢাবি উপাচার্যের ভবনে একটি ঘটনা ঘটে। তখন উপাচার্য পুলিশকে নির্দেশ দেন ছাত্রদের গুলি করার জন্য।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বলতে চাই, শিক্ষকদের মর্যাদাক্ষুন্ন বা মর্যাদাহানি হয় এমন কোনো কাজ তোমরা করো না। নিজেদের দাবি আদায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে করো। এসময় যারা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা দায়িত্ব চেয়ে নেননি। আমরা হাতে-পায়ে ধরে তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের ধৈর্যশালী ও সহনশীল হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিচার করি। অপরাজনীতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে আছে। শিক্ষক নিয়োগেও পদে পদে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। তাই আপনাদের পরিষ্কার করতে হবে যে আপনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থ দেখবেন না কি ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ দেখবেন। দলীয় স্বার্থ দেখলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ইমেরিটাস এ কে এম আজহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান এবং কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মতিয়ার রহমান।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!