ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া থানায় ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বৃহস্পতিবার বিকালে থানায় পৌঁছালে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।
ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত কুমার সাহা জানান, আদালতের নির্দেশে ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ওই তরুণী এবং তার মাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তার জবানবন্দিগ্রহণ ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে তরুণীকে উদ্ধারে অভিযান চালায় র্যাব। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেছে জানতে পেরে, র্যাব সদস্যরা ফিরে যান।
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষষের অভিযোগ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন ডুমুরিয়া উপজেলার ওই তরুনী। পরদিন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে তাকে অপহরণ করা হয়। রাত ১১টায় তাকে সোনাডাঙ্গা থানায় ফিরে অভিযোগ অস্বীকার করেন ওই নারী। এ ঘটনার ১ মাস ১০ দিন পর বুধবার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন ওই তরুণীর মামাতো ভাই গোলাম রসুল সরদার। আদালত মামলাটি গ্রহণের জন্য ডুমুরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট/এইচ