খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

অ‌ভিযুক্ত‌দের গ্রেফতা‌রে চল‌ছে প‌ু‌লি‌শের অ‌ভিযান

ইস্টার্ণগেটে মানুষের নির্ঘুম দু’টি রাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা মহানগরীর আটরাগিলাতলা ইস্টার্ণগেটে থমথমে অবস্থা। থেমে গেছে কর্মচাঞ্চল্য। শোকাবহ চারিদিক, যেনো নিরব। অশ্রুসিক্ত নিহত চার ও জখম আটটি পরিবারের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী। নিশ্চিন্তে নেই পলাতক ঘাতক পরিবারের সদস্যরাও। ইতোমধ্যে গুলিবর্ষণকারী শেখ জাকারিয়ার শ্বশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও সহযোগী জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে পুলিশ। গত রাতেই দাফন সম্পন্ন হয়েছে নিহতদের। গুলিবর্ষণকারী সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হল অভিযুক্ত শেখ জাকারিয়ার শশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীর। এছাড়াও স্থানীয় বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনো থামেনি শোকাহত পরিবারে শোকের মাতম। স্বাভাবিক কথা-বার্তা বলতে গেলেও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তারা। দৈনন্দিন কাজেও ফিরতে পারেনি এসব পরিবারগুলো। প্রতিবেশীরা রান্না করে খাবার সরবরাহ করছেন; তা খেয়েই নির্ঘুম দু’টি রাত কেটেছে তাদের।

আরও পড়ুন :

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকলে উদ্বিগ্ন- কি হবে এটা ভেবে। শোকাহত পরিবারের পাশে এসে এখনো দাড়াননি জনপ্রতিনিধি বা রাজনীতিক নেতারা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।


ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে শেখ মোঃ জাকারিয়া, তার ভাই জাফরীন হাসান ও মিল্টন পুলিশে সোর্পদ করে। এঘটনার পর গ্রামবাসী জাকারিয়ার বাড়িতে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতে যায়। এসময় জাকারিয়ার সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শেখ মোঃ জাকারিয়া, জাফরীন হাসান, কবির ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। গুলিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুল নিহত হন। পরে সাইফুল ইসলামও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিলসহ ৮-১০জন গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনার পর রাত ২টার দিকে ক্ষুব্ধ অপরপক্ষের গণপিটুনিতে জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ শেখ নিহত হন।

খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি চলছে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!