খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমাজের যেকোন পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার বেড়েছে অনেক। আওয়ামী লীগে নারীর অংশগ্রহণ কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে বেশি। তেমনি রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে চায় দলটি। তবে আমরা চাই, শুধু কোটা অনুযায়ী নয়, তার চেয়ে বেশি হারে নারীর অংশগ্রহণ হোক রাজনীতিতে। তৃণমূল পর্যায়েও যাতে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ হয়, সে অনুযায়ী কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ তৃণমূল থেকে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলতে কাজ করছে। আর এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মশালা নারী নেতৃত্বের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সেই সাথে অভ্যন্তরীন গণতন্ত্র চর্চায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ব্যবহার ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রমকে গতিশীল করছে। রাজনৈতিক কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরণের প্রশিক্ষণ বিশেষ অবদান রাখছে।
তিনি আরো বলেন, ঘরে বাহিরে সকল ক্ষেত্রে নারীর নেতৃত্ব বিকশিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন সহায়ক পরিবেশ। নারী নেতৃত্ব বিকাশে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমেই আমরা সমতার বিশ্বের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। কেননা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নারী-পুরুষ সবাইকে সমানভাবে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অভ্যন্তরীন গণতন্ত্র চর্চায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ব্যবহার, নারী নেতৃত্বের বিকাশ ও সহযোগী সংগঠনের ভূমিকা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও মাষ্টার ট্রেইনার মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাষ্টার ট্রেইনার জেসমিন সুলতানা শম্পা। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. রুহুল আমিন, সদর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভিন ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক নূরানী রহমান বিউটি, সোনাডাঙ্গা থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর জাহান রুমি, মহানগর কৃষক লীগের সদস্য মো. শহীদুল হাসান, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জব্বার আলী হীরা, সহ-সম্পাদক ওমর কামাল সহ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই