হাটের ডাক এবং এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নের মোল্যাডাঙ্গা গ্রামে দু ‘গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জসহ উভয় গ্রুপের ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় বিএনপিনেতা বুলু শেখ, মাসুদসহ উভয় গ্রুপের ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, কোলার হাটের ডাক এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
গাজীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা আব্দুস সালামসহ স্থনীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে স্থানীয় বিএনপি নেতা বুলু শেখ, জাকির মোল্লা, এবং মাসুদসহ তার সহযোগীদের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কোলাবাজারের হাটের ডাক এবং বাজারে ইজারা তোলাকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
আজ শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো আবু সিদ্দিক মোল্লা (৫৫) , কামরুল মোল্লা (৪৫), সেলিম মোল্লা (৩০), মিন্টু মোল্লা (৩৫), মোঃ জাকির হোসেন (৫১), কলম শেখ (৪৮), হাসিব শেখ(৩৫), কাদের শেখ(৩২),কালু মিয়া (৩০), মুকুল (৩৫), হৃদয়(২২) রাসেল(২১)।
সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে স্থানীয় গাজীরহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস ইটের আঘাতে সামান্য আহত হয়েছেন।
আহত বাকীরা স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়েছে।
সংঘর্ষে উভয় গ্রুপ দা, বল্লব, সোড়কী, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়। সংঘর্ষের ঘটনাটি বর্তমানে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মধ্যে বিরোধে রুপ নিয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইনেসপেক্টর (তদন্ত) রিপন কুমার সরকার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিলেন।