খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৫ মে, ২০২৪

Breaking News

  মিল্টন সমাদ্দারের প্রতারণায় সহযোগী ছিলেন তার স্ত্রী : ডিবি প্রধান
  জনগণের ভরসাস্থল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সেনাবাহিনী : প্রধানমন্ত্রী

আটক দেড় হাজার টন খাওয়ার অযোগ্য চালের মালিক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় উদ্ধারকৃত ১ হাজার ৫১৬ মেট্রিক টন খাওয়ার অযোগ্য চালের মালিক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এনসিসিএফ। ম্যাংঙ্গো লাইন শিপিং এজেন্টের মাধ্যমে নৌপথে ওই চাল খান মেজর রাইস মিলে এসে পৌঁছায়। জেলা প্রশাসন, র‌্যাব ও খাদ্য অধিদপ্তর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় মহানগরীর লবণচরা স্লুইচ গেট সংলগ্ন খান মেজর রাইস মিল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ওই চাল জব্দ করে। উদ্ধারকৃত চালের মূল্য ছয় কোটি টাকা।

র‌্যাবের সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাল মিলের গোডাউন থেকে বের করার সময়ে জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেতু কুমার বড়ুয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে নেতৃত্ব দেন।

র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়ার সহকারি পরিচালক মো. বজলুর রশীদ জানান, এ চাল উদ্ধারের পর মাহমুদ আলম খানের মালিকানাধীন খান মেজর রাইস মিল সিলগালা করা হয়েছে। তিনি জানান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উল্লিখিত পরিমাণ চাল গুদামজাত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। আমদানিকৃত চাল খাদ্য অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই রাসায়নিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করেই বাজারজাত করা হয়েছে।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় জানানো হয়, রাসায়নিক পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ ট্রাক চাল মিল থেকে বের করে বাজারজাত করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের ম্যজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময়ে সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক (মংলা) ও র‌্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, মিলের মালিক খান কামরুল ইসলাম ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্তেকাল করার পর তার পূত্র মাহমুদ আলম খান ওরফে বাবুর মালিকানায় মিলটি পরিচালিত হচ্ছে। গত ৩০ জুন লাইসেন্স নবায়নের নির্ধারিত দিনে ফিস না দেওয়ায় খাদ্য অধিদপ্তর খান রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিল করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

মিলের মালিক মাহমুদ আলম খান জানান, জুন ও জুলাই মাসের জন্য এক লাখ টাকা ভাড়ার চুক্তিতে ওই চাল মিলে রাখা হয়। মিলটি সিলগালা করার কথা তিনি স্বীকার করেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন বলেন, গুদামের নিম্নমানের চাল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা জন্য মংলার সহকারি নিয়ন্ত্রক (খাদ্য) মো. জহিরুল ইসলাম ও খাদ্য ও চলাচল সংরক্ষণ কার্যালয়ের পরিবদর্শক অনিন্দ কুমার দাসের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামি ১২ জুলাই সোমবারের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!