অভয়নগরে শ্রীধরপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তাদ্বয়ের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত ৬/৮ শত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে, ওই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদ্বয় মোঃ ইমদাদুল হক ও শামিমার বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন কার্ড করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীসহ তাদের অনেক অভিভাবকের ভিড়।
জন্মনিবন্ধন নিতে আসা দেয়াপাড়া গ্রামে তামিম মোল্যা, ইউসুফ গাজী, মিলন রায়, রাহাজুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম জানান, কার্ড দেয়ার আগেই রশিদ ছাড়া ৬শত টাকা করে তাদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে । এ ছাড়াও আরো অনেকের কাছ থেকে এ ভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে তারা জানান।
কোদলা গ্রামের ফাইম , নয়ন শেখ জানান, জন্মনিবন্ধনের সংশোধেনর জন্য তাদের কাছ থেকে ৬শত টাকা করে জমা নিয়েছেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদ্বয় মোঃ ইমদাদুল হক ও শামিমা । পরে জন্মনিবন্ধনের কার্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এবং কার্ড নেওয়ার সময় আরো কিছু অর্থ লাগতে পারে বলে জানান।
মথুরাপুর বাজারের দোকানদার শাহানুর মোড়ল জানান, স্কুলের কি একটা কাজের জন্য জন্মনিবন্ধন কার্ড লাগবে । আমি আমার বড় ও ছোট ছেলের জন্য জন্মনিবন্ধনের কার্ডে জন্য ইমদাদুল হক ও শামিমাকে ৮শত টাকা জমা দিয়েছি। কিন্তু কোন প্রকার রশিদ দেয়নি।
শ্রীধরপুরের আহাদ, পুড়াখালির শহিদুল জানান, নাম সংশোধনের জন্য ৫শত টাকা নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তাদ্বয় শুধু জন্মনিবন্ধন কাজ ছাড়া আর কোন কিছু করে না।
জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ ইমদাদুল হক মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শামিমা জানান, আমরা অতিরিক্ত টাকা নিয়েছি। কাগজ পত্রের সাথে ওই টাকা গুলো পিনআফ করে রেখেছি। পরে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আমরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদ্বয় কোন বেতন পাই না।
ইউপি সদস্য সুলতান মোল্যা জানান, এই জন্মনিবন্ধন কার্ডের ব্যাপারে আমার কাছে বেশি কিছু জনসাধারণ মৌখিক অভিযোগ করেছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে হরিলুট করছে। যা আইনে বহিভুর্ত কাজ।
ইউনিয়ন সচিব হরে কৃষ্ণ দাস বলেন, কিছু লোকের কাছ থেকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। আইনের বাইরে কোন কাজ করা যাবে না। আমি অভিযোগ শোনার পর নিজে তদারকি করছি। কোন প্রকার জন্মনিবন্ধন কার্ডে বেশি টাকা নিয়া যাবে না।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী মোল্যা বলেন, জন্মনিবন্ধন বিষয়ে আমার কাছে কোন প্রকার অভিযোগ আসেনি। বেশি টাকা নেওয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সব মিথ্যা কথা। যেহেতু উদ্যোক্তাদ্বয়ে ইমদাদুল হক এবং শামিমার কোন বেতন নাই। যেহেতু ২০ টাকা করে বেশি নিতেই পারে। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী একটা নিবন্ধন করতে আসলে পিতা, মাতা সহ করা লাগছে। সার্ভার এর সমস্যার কারণে আমরা একটাও জন্মনিবন্ধন কার্ড বের করতে পারিনি।
অভয়নগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: আমিনুর রহমান বলেন, আমি প্রত্যেক চেয়ারম্যানকে বলেছি জন্মনিবন্ধন কার্ড করতে ছাত্র বা ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া যাবে না। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই