যশোরে অভয়নগরে শেষ সময়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের চাষিরা । দেখা গেছে, এ উপজেলার চেঙ্গুটিয়া, প্রেমবাগ, বনগ্রাম, জিয়েডাঙ্গা , আমডাঙ্গা, মহাকাল, ধোপাদী, বুইকারা, শংকরপাশা, কোদলা, ভাটপাড়া, বাঘুটিয়া, নাউলি, একতারপুরসহ চাষিরা শেষ সময়ে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চাষিরা ক্ষেতে পানি সেচের জন্য ব্যবস্থা করেছেন। কোন কোন চাষিরা জমিতে সার বপন করছেন।
ওই এলাকার চাষি ইউনুছ শেখ, আব্দুস সালাম, রহিম হোসেন, শামিম হোসেন, তপন মল্লিক, জুফিক্কার মোড়ল বলেন, বোরো আবাদ করেছি। রোপনে কাজ প্রায় শেষের পথে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ অঞ্চলের চাষিরা বাম্পার ফলনে আশা করছেন। শেষ সময়ে বোরো ধানের চারা রোপনে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের জমিতে বোরো রোপনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ উপজেলার সর্বত্র জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান চাষাবাদের মহোৎসব।
আবার নিচে অঞ্চলের কৃষকরা সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে বোরো আবাদ করছেন । জমি প্রস্তুত করার লক্ষ্যে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে অনেক কৃষকের। এ এলাকায় বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হওয়ায় খুব আগ্রহ নিয়ে বোরো আবাদ শুরু করেছেন অনেকেই। আশা করছেন তারা বোরো আবাদের বাম্পার ফলনের।
নিচে অঞ্চলের চাষি মোঃ জাকারিয়া জানান, পানি বেশি থাকা বোরো আবাদ শেষ সময়ে চারা রোপন করছি। তারপর ও বেশি ফলনের আশা করছেন তিনি। ভবদহে এলাকার কৃষকেরা জানান, এ এলাকায় বোরো আবাদ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকার পানিতে বিল গুলো ডুবে রয়েছে। কৃষকদের দাবি, ডুমুরতলা বিল, ডহর মশিয়াটি বিল, সরখোলা, সড়াডাঙ্গা, রাজাপুর, চলিশিয়া, কয়েকটি বিলে বোরো চাষ হবে না। এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম সামদানী বলেন, প্রান্তিক চাষিরা শেষ সময়ে জমিতে বোরো আবাদ করছে। নিচু অঞ্চলে বাদে সব এলাকায় ভাল ফলন হবে। আমরা চাষিদের এ বিষয়ে পরার্মশ দিয়ে যাচ্ছি। ডুবে যাওয়া অঞ্চলে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করছে।