খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬ বৈশাখ, ১৪৩১ | ৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  প্রথম ধাপের উপজেলা ভোট শেষ, চলছে গণনা
  উপজেলা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ : রিজভী
  তেঁতুলিয়ার খয়খাটপাড়া সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

অভয়নগরে মুকুলে ছেয়ে গেছে আম বাগান, বাম্বার ফলনের আশা

শাহিন আহমেদ

যশোরের অভয়নগরে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে আম বাগান, ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ।

উপজেলার সারি সারি আম গাছের বাগান গুলো সোনালী, হলুদ আর সবুজের মহামিলনে ভোরে উঠেছে। আর সেই মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের ডালপালা। চারদিকের বাতাসে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা সু ঘ্রাণ। যে ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। এখন আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে সব আম গাছ। পাশাপাশি মধু মাসের আগমনী বার্তা জানাচ্ছে আমের মুকুল। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন অভয়নগর উপজেলার বাগান মালিকরা। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছ গুলোতে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম সহ ধোপাদী, প্রেমবাগ, সুন্দলী, চেঙ্গুটিয়া, বনগ্রাম, চলিশিয়া, একতারপুর , গ্রামতলা, গাজীপুর, সিদ্ধিপাশা, শ্রীধরপুর, ঘুরে দেখা যায়, বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। যেদিকে চোখ যায় গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান মুকুলের আভা। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। সেই মুকুলের গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। এর মধ্যে আম রুপালি, গোপালভোগ, ফজলি জাতের আম অন্যতম। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েকদিন লাগবে বলে জানান বাগান মালিক সাদ্দাম হোসেন, রজিবুল ইসলাম।

বাগান মালিক সবুজ হাসান বলেন, বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। আমি প্রতিদিন বিভিন্ন আম বাগান গুলো পরিদর্শন করছি। এখনও কোনো বাগানে সমস্যা দেখা যায়নি। পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করেছি। সেই সাথে সালফার জাতীয় ছত্রাক নাশক স্প্রে করেছি। কারণ শুরু থেকে মুকুলের পরিচর্যা করতে পারলে এবার আমের ফলন বাম্পার হবে। হপার পোকা মুকুলের কচি অংশের রস চুষে খেয়ে বেচে থাকে। এ জন্য মুকুল সবুজ থাকা অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে করে থাকি।

আমের বাম্পার ফলনের আশায় পরিচর্যায় ব্যস্ত উপজেলার আম চাষিরা। কথা হয় ঘেরে পাড়ে লাগানো আমবাগানের মালিক হোসেন আলীর সাথে তিনি বলেন, আমার ১০ বিঘা ঘেরের পাড়ে আম গাছে আমারে মুকুল ধরেছে। গতবারে থেকে এবার গাছে অনেক মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করি আমের ফলন বেশি হবে।

অভয়নগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ছামদানী জানান, আমরা চাষিদের ফুল ফোটার সময় ও আমের গুটি হওয়ার সময় পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করার পরার্মশ দিয়েছি। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর আমের বাম্বার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আমের বাম্পার ফলনের জন্য সব রকম তথ্য ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে কৃষকদের সহযোগিতা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

খুলনা গেজেট / বিএমএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!