জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার সকল শিশুর সমান অধিকার-এই প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় অধ্যাপক ডাঃ নিকুঞ্জ বিহারি গোলদারের আয়োজনে পালিত হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও শিশু দিবস। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আনন্দ শোভাযাত্রা ও পথ শিশুদের মাঝে কেক কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু করা হয়। পরে উপজেলার সাউদার্ন ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের মঞ্চে এক আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণী ও ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় সাউদার্ন ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের চেয়ারম্যান ও দাতা সদস্যর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অধ্যাপক ডাঃ নিকুঞ্জ বিহারি গোলদার ।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাউদার্ন ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজে প্রিন্সিপাল মোঃ সাইফুল ইসলাম, গ্রাম ডাক্তার কল্যান সমিতির কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি ও যশোর জেলার সভাপতি এম এ গফুর, বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যান সমিতির অভয়নগর উপজেলার সভাপতি ফজল রাব্বি সুজনসহ অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সকল শিক্ষক শিক্ষার্থীগণ এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডাঃ নিকুঞ্জ বিহারি গোলদার বলেন, গোপালগঞ্জের বাগাইর নদীর কোল ঘেঁষে গড়ে উঠা ছায়াঘেরা জনপদ টুঙ্গিপাড়া নামক গ্রামে ১৯২০ সালের এই দিনে জনাব লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুন দম্পতির কোলকে আলোকিত করে জন্মহয় এক শিশুর। সেই শিশুটি তাঁর প্রঙ্গা, মেধা ও ধৃঢ় মননশীলতার মাধ্যমে ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেন। যার জন্ম না হলে এই স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দী থাকতে হতো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুকাল থেকেই একজন আত্মমর্যাদাশীল মানুষ ছিলেন। স্কুল জীবন থেকেই রাজনৈতিক সচেতন লোক হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে তিনি জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন, কবিতা আবৃতি ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন। তারপর সাউদার্ন ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজে সততা স্টোরের উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে দেড় শতাধিক মহিলা রোগীকে ফ্রী চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম